• বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লায় জোড়া খুনের মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল!

/ ৯৭ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক:-
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় ডিবি পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। তদন্তে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন পাঁচজন।

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সোহেল ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হরিপদ সাহা সদস্য ছিলেন।

অভিযোপত্রে নাম আসা ১১ জন হলো– নগরীর নবগ্রাম বউবাজার এলাকার সোহেল ওরফে জেল সোহেল, সুজানগরের মো. আলম, জিসান মিয়া, সংরাইশের মাসুম, নবগ্রামের সায়মন উদ্দিন, সুজানগরের রনি, সংরাইশের রাব্বী ইসলাম ওরফে অন্তু, সুজানগরের এমরান খন্দকার, পাথুরিয়াপাড়ার জাহিদুল হাসান ওরফে ইমরান, পূর্ব চানপুরের নাজিম ও চৌদ্দগ্রামের চাঁপাচৌ গ্রামের ইমরান হোসেন রিশাত।

মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন– নগরীর সুজানগর এলাকার শাহ আলম, সাব্বির হোসেন ও সংরাইশ এলাকার মো. সাজন। তারা পৃথক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ ছাড়া সুজানগরের সুমন ও তেলিকোনার আশিকুর রহমান রকির সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখায় সোহেল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের আগের দিন রাতে শাহ আলমের নেতৃত্বে জিসান ও সাজনের বাসায় বৈঠক হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল, ৬৫ রাউন্ড গুলি খাগড়াছড়ি থেকে রিশাতের (আসামি) মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় সংগ্রহ করে শাহ আলম।

অভিযোগপত্রের তথ্যমতে, ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহ আলম, জেল সোহেল, নাজিম ও রিশাত কাউন্সিলর সোহেলের অফিসে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। সাজন ও সাব্বিরসহ অন্যরা এ সময় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গুলিবিদ্ধ সোহেল ও হরিপদকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় কাউন্সিলরের ভাই সৈয়দ মো. রুমন ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এবং জেলা ডিবি তদন্ত করে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, এ মামলার আসামি ক্রসফায়ারে নিহত শাহ আলম একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং তার নামে অনেক মামলা রয়েছে। তার মাদক ব্যবসায় সোহেল বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া শাহ আলমের সহযোগী ক্রসফায়ারে নিহত সাব্বিরের সঙ্গে স্থানীয় এক মেয়ের প্রেমঘটিত বিষয় নিয়েও বাধা হন সোহেল। এতে তারা সোহেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

মামলার বাদী বলেন, ১১ আসামির মধ্যে জেল সোহেল ছাড়া সব আসামি জামিনে মুক্ত রয়েছে। তিনি তাঁর ভাই সোহেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। জেলা ডিবির ওসি রাজেস বড়ুয়া সমকালকে জানান, তদন্তে জোড়া খুনের নেপথ্যের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।


আরো পড়ুন