• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

ঘিওরে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

/ ১৪৯ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

জীবন আহমেদ ফারুক, ষ্টার্ফ রিপোটার:-
সম্প্রীতি সমাবেশ ও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সুষ্ঠু, সুন্দর, এবং নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় পূজামন্ডপ কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ( ২ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় ঘিওর থানা পুলিশ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভাটি ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ঘিওর উপজেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমারশীল গোবিন্দের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( শিবালয় সার্কেল) সৈয়দা মারুফা নাজনীন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শচীন্দ্রনাথ মিত্র, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাহেলা, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন কুমার আইচসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত চেয়ারম্যান মেম্বারগন ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তার জন্য করণীয় ও বর্জনীয় নির্দেশনা উল্লেখ করে বলেন, ঘিওর উপজেলায় এবার ৮৩ টি পূজামন্ডপ হতে যাচ্ছে। তাই পূজামন্ডপে আসা পূজারীদের নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের লক্ষে ঘিওর উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ থাকবে।

এসময় সৈয়দা মারুফা নাজনীন বলেন সব পূজামন্ডপে সিসি টিভি ও ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা রাখা, জরুরি । প্রয়োজনে ‘হ্যালো এসপি’ জাতীয় জরুরি সেবা- ৯৯৯ ও বিট পুলিশ কর্মকর্তার সহযোগিতা নেওয়া। আযান ও নামাজের সময় মসজিদ পার্শ্ববর্তী পূজামন্ডপগুলোতে পূজা চলাকালে এবং বিসর্জনকালে শব্দযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখা ও উচ্চস্বরে শব্দযন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। রাতে প্রতিমা নির্মান স্থান ও পূজামন্ডপে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, পূজা চলাকালে হাউজি, জুয়া, আতশবাজি ও পটকা ফুটানো ইত্যাদি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা, মাদকের ব্যবহার, ইভটিজিং ও ছিনতাই প্রতিরোধে সর্বদা সচেতন থাকা, মন্ডপে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর/ চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখা, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ফোন নাম্বার দৃশ্যমান জায়গায় ঝুলিয়ে রাখা, পূজা চলাকালে মন্ডপের অভ্যন্তরে অশ্লীল নৃত্য/ডিজে গান পরিবেশন না করা, প্রতিটি পূজা কমিটিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে কমিটি গঠন, আতশবাজি নিষিদ্ধ, সাউন্ড বক্স, মাইক ব্যবহারে নির্ধারিত সময় সূচি মানা, মন্ডপের আশেপাশে অপরিচিত বা সন্দেহভাজন কোন লোক ঘুরাফেরা করলে সাথে সাথে পুলিশকে জানানো, আরতি প্রতিযোগীতা না করা, আইন শৃংখলা রক্ষার নিমিত্তে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা গ্রহন, দশমীর দিন রাত ৮টার মধ্যে মন্ডপ নির্ধারিত স্থানে বিসর্জন কার্যক্রম সম্পন্ন করা, অস্থায়ী প্যান্ডেলে স্থাপিত প্রতিমাসমূহে বিসর্জনের দিনেই বিসর্জন দিতে হবে, বিসর্জনের স্থানে সচেতনতা মূলক প্রচারণার জন্য আয়োজক কমিটি কর্তৃক মাইক ও ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা রাখা, প্রতিমা বিসর্জন স্থানে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা রাখা।

বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে সতর্কদৃষ্টি রাখতে হবে বলে নির্দেশ প্রদান ও পূজা উদযাপন কমিটির সকলস্তরের নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।


আরো পড়ুন