• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন

রাজশাহীর সব ক্লিনিকে আগামীকাল থেকে অপারেশন বন্ধ ঘোষণা

/ ১০০ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক:
অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ফি বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার নেতৃবৃন্দরা বলেন , অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা যে নতুন ফি নির্ধারণ করেছেন, তা বর্তমান ফির দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাবে। এটি বাস্তবায়ন হলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, সেই সঙ্গে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমানের দাবি করে বলেন, অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা যে রেট নির্ধারণ করেছেন তা বাস্তবায়ন করলে চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে অনেক মানুষের, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসা খরচ সাধ্যের বাইরে চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ’এই দাবির প্রতিবাদে আমরা বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত আমরা রোগীদের স্বার্থেই নিয়েছি। ’

তবে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট (বিএসএ) রাজশাহী শাখা সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. খিজির হোসেন বলেন, ’২০১৬ সালের পর আমাদের ফি আর বৃদ্ধি করা হয়নি। ক্লিনিক ও হাসপাতাল-মালিক পক্ষ অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের নামে রোগীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের নামে (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) নেওয়া টাকা আমাদেরই দিতে হবে। ’

নতুন ফি বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ’বর্তমানে প্রসূতিদের সিজার করতে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা পান দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। আমরা সেই ফি আড়াই হাজার করার দাবি জানিয়েছি। অথচ ক্লিনিক-মালিকরা বলছেন, আমরা নাকি দ্বিগুণ ফি বৃদ্ধির দাবি করছি। ’

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট (বিএসএ) রাজশাহী শাখা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে পারিশ্রমিকের নতুন তালিকা পাঠালে দুই পক্ষের দর-কষাকষি ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।


আরো পড়ুন