• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন

অপুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের জবাবে বুবলীর বিস্ফোরক স্ট্যাটাস!

/ ১২৯ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

চিত্রনায়ক শাকিব খানকে কেন্দ্র করে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্ব বেশ পুরোনো। সেটি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে!

সম্প্রতি গণমাধ্যমে অপু বিশ্বাসের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ব্যক্তিগত আইডিতে একটি বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলী। সেখানে তিনি কারও নাম উল্লেখ না করে জানান, কেউ তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলে আইনি ব্যবস্থা নিবেন। তবে বুবলী কারও নাম উল্লেখ না করলেও নেটিজেনরা মন্তব্য করছেন, অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করেই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন তিনি।

শবনম বুবলীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

কিছুদিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদেরকে দিয়ে করায়, তাদের সমস্ত কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে; যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট।

এসব নোংরামি পাত্তা দেওয়ার রুচি থাকে না বলেই এসব নিয়ে আমার কথা বলা হয় না। কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে তাহলে তা হবে তাদের চরম ভুল। আশেপাশে হাজার কিছু হলেও দিনশেষে আমাকে নিয়েই এসব ব্যক্তির ব্যস্ততা। এমনকি নাওয়া খাওয়া সব থাকে আমার চিন্তায়। এদেরকে রেসপন্স করতেও রুচিতে বাঁধে।

আর হ্যাঁ, আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনই দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগনের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি, গিরগিটির মত রং বদলাতে শেখায়নি, কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি, বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টক শো-তে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মত হাসতে শেখায়নি, মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসামী শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি, কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি, বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি। তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারি না।

আমি এসব না শিখতে পারার জন্য গর্বিত। কারণ এসব যে পারে, সে অনায়াসেই লিজেন্ড শাবানা ম্যামের মত এতো সিনিয়র ব্যক্তিত্ব নিয়ে অপমানজনক বেফাঁস মন্তব্য করে বসতে পারে। কঠোর পরিশ্রম করে নিজের মত এগিয়ে যাওয়া নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে অপমান করে কথা বলে মুখটাকে বিশ্রী করে ব্যঙ্গ করতে পারে, ভালো মনের মানুষ বর্ষা আপুকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলতে পারে, মাস্টারমেকার পরিচালক শ্রদ্ধেয় মালেক আফসারী স্যারকে নিয়ে অপমান করে কথা বলতে পারে- যা কিনা রীতিমত তার পারিবারিক শিক্ষাকেই উপস্থাপন করে। এজন্যই বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়।

কত বাজে নিচু মানসিকতার হলে সে একজন নিষ্পাপ বাচ্চাকেও কটুক্তি করতে ছাড়েনি। কিছুদিন আগে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে আমার সন্তানকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে বাদরের মত মুখ ভেংচি কেটে বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি।

আমি মা হিসেবে ভালোবেসে আমার সন্তানকে নিয়ে কি করব বা আমার সন্তানের ভালোর জন্য কি করব- সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সে এটা নিয়ে কথা বলার কে?

সারাক্ষণ নানান মিথ্যা বানোয়াট উস্কানিমূলক বিষয়ে কথা বলে, অথচ পরে আবার বলবে সে ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে না। সারাক্ষণ মানুষকে ছোট করে কথা বলবে কিন্তু পরে বলবে সে মানুষকে ছোট করে কথা বলে না। একেক সময় একেক রঙ ধারণ করে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার নগ্ন খেলা এসব বহুরুপী ছোট মনের ব্যক্তিই পারে।


আরো পড়ুন