• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

বিএনপির নেতাদের মুক্তির দাবিতে নরসিংদীতে গণমিছিল, আটক ১৭

/ ১১৯ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

নরসিংদীতে পুলিশি বাধায় নির্ধারিত স্থানে কেন্দ্রঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি। পরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যালয় থেকে এক কিলোমিটার দূরের চিনিশপুর কালীবাড়ি এলাকার সড়কে এই গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে। গণমিছিলের আগে-পরে ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৭জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এই গণমিছিলের সময় নির্ধারিত থাকলেও কর্মসূচি শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর নেতৃত্বে গণমিছিল কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ, দ্বীন মোহাম্মদ দীপু, গোলাম কবির কামাল ও ফারুক উদ্দিন ভূঁইয়া। এতে বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল তিনটায় চিনিশপুরের জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকেও জানানো হয়েছিল। দুপুর থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
এ সময় বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন মোড়, জেলাখানার মোড় ও গ্যাস অফিস মোড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারা চৌকি বসিয়ে নেতাকর্মীদের তল্লাশী করেন এবং বেশকিছু নেতাকর্মীকে আটক করেন। বাধা পেয়ে পরে সিনিয়র নেতাদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে কার্যালয় থেকে এক কিলোমিটার দূরের একটি মসজিদের সামনে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের গণমিছিল নিয়ে তিন শতাধিক নেতাকর্মী চিনিশপুর কালীবাড়ির সামনে যান। পরে সেখানে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ সারাদেশের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আপনারা মিথ্যা, গায়েবী ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করেছেন। যদি তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া না হয় ও তাদের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

এছাড়াও ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে নরসিংদীতে বিএনপির যত নেতাকর্মীকে মিথ্যা, গায়েবী ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদেরও অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, এই ঘটনায় তল্লাশী চালিয়ে মোট ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগে থেকেই নাশকতাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলো যাচাই-বাচাই করে আটক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।


আরো পড়ুন