• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল

/ ১১২ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

বড় দিনসহ তিন দিনের ছুটির ফাঁদে দেশ। টানা ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই কক্সবাজার পৌঁছেছেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দেখা গেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

সমুদ্র সৈকত, শহরের অলিগলিসহ দর্শনীয় স্থানগুলো এখন পর্যটকমুখর। বড় দিনসহ টানা তিন দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ।

আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির তথ্যমতে, ইতোমধ্যেই হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউসের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষ করে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেলে কোনো রুম নেই। বুকিং থাকায় যেসব পর্যটক একদিন আগে কক্সবাজার পৌঁছেছেন, তারা রুম পেতে হিমশিম খাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজারে এখন দুই লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। শহরের রাস্তা অলিগলিতে মানুষ আর মানুষ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পাথুরে বিচ ইনানী, পাটুয়ারটেক, সেন্টমার্টিন, রামু, মহেশখালীসহ জেলার অন‍্যান‍্য পর্যটন স্পটগুলোও পর্যটকদের পদভারে মুখরিত।

ঢাকা থেকে সৈকতে এসেছেন আবুল হাসান। তিনি বলেন, কক্সবাজার পৌঁছে রুম বুকিং করব এমন পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হোটেল-মোটেলগুলোয় ভালো কোনো রুম পাইনি। কোনোমতে দুই দিনের জন্য একটি হোটেলে রুম নিয়েছি।

শান্তা রহমান নামে অপর এক পর্যটক বলেন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বাজেটের তুলনায় টাকা একটু বেশি খরচ হচ্ছে। তবে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে পেরে ভালো লাগছে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আমাদের ৪৫০টি হোটেল বুকিং হয়েছে। অনলাইনে অনেক পর্যটক রুম চাইলেও দিতে পারছি না। ছুটির দিনগুলোয় নগরীতে সাড়ে ৩ লাখের বেশি পর্যটক সমাগম হবে।

পর্যটকদের দায়িত্বে থাকা লাইফ গার্ড কর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে সৈকতে পর্যটকের চাপ বেশি। তাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা পর্যটকের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ওসি গাজী মিজান সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজারের প্রতিটি পর্যটক স্পটে তিন দিনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত এবং হয়রানি বন্ধে আমরা হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় মাঠে কাজ করছেন তারা। খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তদারকি বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, কক্সবাজার এসে কোনো পর্যটক হয়রানি কিংবা ভোগান্তির শিকার হবেন না।


আরো পড়ুন