• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কুয়াকাটা ইকোপার্ক

/ ৯৯ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ইকোপার্ক দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই পার্কটি পুনরায় সচল করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে বন বিভাগ বলছে, পার্কের একটি মাস্টার প্ল্যান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল কুয়াকাটা ইকোপার্ক। গত কয়েকবছরে সিড ও আইলাসহ বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেহাল দশা হয়েছে পার্কটির।

বন বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে কুয়াকাটা ইকোপার্ক ১৪ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়। এই ইকোপার্ককে কেন্দ্র করে আশেপাশের এলাকাতেও পর্যটকদের আকর্ষণের বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠে। ইকোপার্ক ও আশেপাশের এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনায় স্থানীয়দেরও কর্মসংস্থান হওয়ায় তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা তৈরি হয়। পরে এই ইকো পার্কের নাম দেওয়া হয় ‘জাতীয় উদ্যান। সবই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু গত কয়েকবছরে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কুয়াকাটা ইকোপার্ক বা জাতীয় উদ্যানের সৌন্দর্য। সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায় পার্কটির ৮ একর জমি। ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত জাতীয় উদ্যানে গত কয়েক বছরে কোনো সংস্কারও করা হয়নি।

এত স্থানীয়দের অনেকেই বেকারত্বের সম্মুখিন জয়ে আর্থিক দৈন্যতার মধ্যে পড়েছেন। স্থানীয়রা পার্কটির সংস্কার করে এটি সচল করার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, সিডর-আইলাসহ ছোট-বড় কয়েকটি দুর্যোগে এ পার্কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্কটির সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলায় এখন এখানে পর্যটকরা আসেন না বললেই চলে। তারা পর্যটকদের ফেরাতে পার্কটির সংস্কার দাবি করেছেন।

এদিকে, এ বিষয়ে বন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা পার্কের উন্নয়নে একটি পরিকল্পিত মাস্টার প্ল্যান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্তকর্তা আব্দুল আল মামুন বলেন, পার্কটির উন্নয়নে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে পার্কের সংস্কারসহ পর্যটন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারব।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসন বনাঞ্চলসহ সৌন্দর্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে বন বিভাগের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ইকোপার্ক ও গঙ্গামতিতে ২০ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।


আরো পড়ুন