• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

নওগাঁর ধামুরহাটে আগ্রাদ্বিগুনে অগ্রপর বিহারের খনন কাজ শুরু  

রহমতউল্লাহ আশিকুর জামান নুর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি  / ২৪৩ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২১

নওগাঁর ধামইরহাটের আগ্রাদ্বিগুণে অবস্থিত হাজার বছরের পুরনো অগ্রপর বিহারের খননকাজ শুরু হয়েছে। এ খননকাজ শুরু হওয়ার মাধ্যমে এ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্যের গুরুত্ব আরো বেড়ে  যাবে সুচনা হবে নতুন এক ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারনা করা  যাচ্ছে এ থেকে পাওয়া যেতে পারে অনেক মূল্যবান প্রত্নসম্পদ।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে আগ্রাদ্বিগুণ বাজার।  বাজারের পশ্চিম পাশঘেঁষে অগ্রপর বিহার অবস্থিত। প্রায় তিন বছর আগে এই স্থাপনার খননকাজ শুরু হওয়ার কয়েক দিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার দুপুরে এই  স্থাপনার  খননকাজের উদ্বোধন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা। প্রায় দুই মাসব্যাপী খনন চলবে বলে জানানো হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক দপ্তরের সহকারী পরিচালক ও খননকাজের দল নেতা আবির বিন কায়সার, ঐতিহাসিক পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. ফজলুর করিম আরজুসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নাহিদ সুলতানা স্থানীয় লোকজনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা মাঝে মাঝে এসে খননকাজ দেখে যাবেন।’
আগ্রাদ্বিগুণ ইউনিয়নের এই আগ্রাদ্বিগুণ স্থাপনার  (অগ্রপর বিহার) আগে থেকেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। জানা যায়, প্রাচীনকালে আগ্রা ও দ্বিগুণ নামে দুটি গ্রাম ছিল। গ্রাম দুটি পরে এক হয়ে আগ্রাদ্বিগুণ নামে পরিচিতি পায়। গ্রামের মধ্যে ছিল অনেক দিঘি। দিঘিগুলোর প্রতিটির আয়তন ছিল ১৫ থেকে ২০ একর। য়া এ অঞ্চলের ও ঐতিয্য
এই ঢিবির আশপাশে এখনো কয়েকটি দিঘি আছে, তবে এগুলো কালের বিবর্তনে  আয়তন আর আগের মতো নেই, ছোট হয়ে গেছে। বর্তমানে ঢিবির চারপাশে অনেক পুরনো পাথর, শিলা পড়ে থাকা দেখা য়ায় । এ দেখে ধারণা করা হয়, এটি প্রায় হাজার বছরের পুরনো কোনো বিহার । তিব্বতীয় সাহিত্যে এটিকে অগ্রপুরী বিহার বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজাদের আমলে নির্মিত এই স্তূপের উচ্চতা ও আয়তন দেখে ধারণা করা হয়, একসময় এটি একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ছিল। এলাকার মানুষ বলে বিহার টির খনন কাজ করলে এলাকার ঐতিহ্য ফিরে পাবে।


আরো পড়ুন