• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন

নীলফামারি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের অনিয়ম ও দূর্নীতি!

/ ২৫৮ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
নীলফামারি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের অনিয়ম ও দূর্নীতি!
নীলফামারি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের অনিয়ম ও দূর্নীতি!

নীলফামারির পৌরমেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের দূর্নীতি ও অনিয়মের ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। মেয়রের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের যেনো অভিযোগের কোনো অন্ত নেই।পৌরমেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে নীলফামারি জেলা পরিষদ কতৃপক্ষেরও।অভিযোগ রয়েছে জেলা পরিষদের জমিতে পৌর সুপার মার্কেট নামে একটি মার্কেট নির্মাণ করে পৌর কতৃপক্ষ।

দোকানঘর বরাদ্দ ও ভাড়ার ন্যায্য হিস্যা দেয়ার কথা থাকলেও জেলা পরিষদ কতৃপক্ষের অভিযোগ তার কোনোটাই মানছেননা পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। এমনকি চুক্তি অনুযায়ী মার্কেটের নাম জেলা পরিষদ পৌর মার্কেট হওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। টানা ৩২ বৎসর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসা দেওয়ান কামাল আহমেদের নামে অভিযোগ আছে নির্বাচন পিছিয়ে রাখার বিষয়েও।জানা গেছে অনেক বছর ধরে নির্বাচন না হওয়ার কারন হলো পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সাথে সীমানা জটিলতার মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া।স্থানীয়দের অভিযোগ এ মামলাটি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঁতাত করে করেছেন।স্থানীয় অনেকেরই বক্তব্য হচ্ছে মামলাটি নিষ্পত্তি না হলে মেয়রেরও লাভ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানেরও লাভ।তাই পৌর মেয়র কামাল আহমেদ ও তার সহযোগীরা সীমানা জটিলতার মামলাটি ঝুলিয়ে রেখে নির্বাচন পিছিয়ে রেখেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু আঁতাতের বিষয়টি অস্বীকার করলেও স্থানীয়দের অভিযোগ মামলার বিবাদী হয়ে তিনি দিনের ২০ঘন্টা মেয়রের সাথেই ওঠাবসা করেন।এছাড়াও পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে অর্থ আত্মসাতেরও।মেয়র কামাল আহমেদের মালিকানাধীন এক একর জমি অধিগ্রহণ করে জেলা পরিষদের ভুমি অধিগ্রহণ বিভাগ।হারোয়া মৌজার ঐ জমির বর্তমান শ্রেণী ডাঙা ও দোলা।অধিগ্রহণে দেখানো হয়েছে বাগান শ্রেনী।কিন্তু হারোয়া মৌজায় কোনো জমি বাগান শ্রেনী নেই।ডাঙা ও দোলা শ্রেণীর বাজার মুল্য সাড়ে ৬৫০০০টাকা হলেও বাগান শ্রেণীর দেখিয়ে মুল্য ধরা হয়েছে ২লাখ ৩হাজার টাকা।এতে করে একশো শতাংশ জমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত আত্মসাৎ করা হয়েছে ৪কোটি ১০লাখ টাকা।এর দায় পৌর মেয়র জেলা প্রশাসনকে দিলেও জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।কারন অধিগ্রহণের সময়ে তিনি দায়িত্বে ছিলেননা বলে দায় এড়িয়ে যান।স্থানীয়দের বক্তব্য হচ্ছে পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও তার সহযোগীদের কারনে তারা কোনঠাসা হয়ে আছেন।তাদের প্রশ্ন এ বিষয়ে তারা প্রতিকার পাবেন কি?কে বা কারা করবে প্রতিকার?

তথ্যসূত্রঃ তালাশ


আরো পড়ুন