• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

করোনাকালে বাল্যবিয়ের শিকার ৪৭ হাজার শিক্ষার্থী

/ ১৩৪ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

মহামারি করোনাকালে ২০২১ সালে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে দেশের ৪৭ হাজার ৪১৪ ছাত্রী। শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে ৭৭ হাজার ৭০৬ জন শিক্ষার্থী। দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০ হাজার ২৯৪টি। এরমধ্যে তথ্য পাওয়া গেছে ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। তথ্য পাঠায়নি ৮ হাজার ৬১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থী ছিল ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন। এরমধ্যে ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬ জন ছেলে এবং ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯১ জন মেয়ে। বছরটিতে দেশে করোনা সংক্রমণ চললেও ২০২১ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি শিক্ষার্থী বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৮ জন। এরমধ্যে ছেলে ৩০ লাখ ২১ হাজার ২৩৩ জন এবং ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০৫ জন মেয়ে। অর্থাৎ, ২০২০ সালের তুলানায় ২০২১ সালে ৯৩ হাজার ২ জন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পায়।

মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ২৮ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ জন ছেলে এবং ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৯২ জন মেয়ে। হিসাব মতে, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ জন শিক্ষার্থী, যা মোট শিক্ষার্থীর ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, বাল্যবিয়ের কারণে ৪৭ হাজার ৪১৪ জন মেয়ে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে। এছাড়া শিশুশ্রমে যুক্ত হয়ে পড়ায় পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৭৭ হাজার ৭০৬ শিক্ষার্থী। অন্যান্য কারণে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৯টি অঞ্চলের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং বরিশালে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। বাল্যবিয়ের কারণে শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলে। রাজশাহীতে এ হার ১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন সিলেটে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।

শিশুশ্রমের কারণে শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির হার সর্বোচ্চ রাজশাহী অঞ্চলে মোট ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ চট্টগ্রামে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজগুলোতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর টানা ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালু হয়।


আরো পড়ুন