শনিবার বাংলাদেশ আশিক্কীনে আউলিয়া পরিষদ, জয় বাংলা মঞ্চ ও কেরানীগঞ্জ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরার রহমাতপুর সাইনিং কিন্ডারগার্টেন স্কুলে মহান সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্ত মোঃ বাদল মিয়াকে হত্যা করায় খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানবন্ধনে আশিক্কীনে আউলিয়া পরিষদ সহ জয় বাংলা মঞ্চ ও কেরানিগঞ্জ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এস এ এম সামছুল হক নূরী, বাকশাল মহাসচিব কাজী মোঃ জহিরুল কাইয়ূম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ মোস্তাক ভাসানী, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, জাসদ মহানগরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হুমায়ন কবির, জিনজিরার ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার নূরমোহাম্মদ, পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দিন প্রমূখ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা মুসলমান ঈদুল আযহা আমাদের ধর্মের শীর্ষ উৎসব।ত্যাগের মহিমায় আনন্দনয় হৃদয় নিয়ে মানুষ যখন কোরবানির পশুক্রয়ের জন্য বিভিন্ন হাটে দৌড়ঝাঁপ করছে।ঠিক এমনি মুহূর্তে সাচ্চু সন্ত্রাসী বাহিনী একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ বাদল মিয়া সুরেশ্বরীকে আমিরাবাগ বাদামগাছ তলার তার দোকান থেকে তোলে এনে রহমতপুর কাসেম হাজীর বাড়ীতে অবস্থিত সাইনিং স্কুলের বারান্দায় হাত-পা বেঁধে এলোপাথাড়ি মারধর করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
যা চাঞ্চল্যকর বর্বরোচিত একটি জঘন্য হত্যাযজ্ঞ।নিহত বাদল সহজ সরল প্রকৃতির একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ।এলাকার লোকজন তাকে ভালো মানুষ হিসেবে জানে।সমাজের কারো সাথে তার ঝগড়া ফাসাদ ছিলো এমন কোন প্রমাণও নেই।সন্ত্রাসী সাচ্চুবাহিনীর সন্ত্রাসীকর্মকাণ্ডে সমাজের সাধারণ নিরহ মানুষ অতিষ্ঠ।এ সন্ত্রাসীবাহিনীর ভয়ভীতির মধ্যে দিয়েই এলাকায় নিরহ লোকজন বসবাস করে আসছে।বক্তরা আরো বলেন,সন্ত্রাসী সাচ্চুবাহিনী নিহত বাদল মিয়ার ছোট ছেলে স্বপনের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।চাঁদা না দেওয়ায় তার কাছ থেকে ৮টি ছাগল জোর করে কেড়ে নেয় এবং তাকে সন্ত্রাসীরা বেধম মারধর করে।খবর পেয়ে স্বপনের বড় ভাই সজলমিয়া ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও মারাত্মকভাবে আহত করে।পরবর্তী সময়ে ওদের বাবা নিহত বাদল মিয়া ঘটনাস্থলে এসে মীমাংসা করে ছেলেদেরকে নিয়ে বাড়ীতে চলে আসে। জুম্মার নামাযের পর বাদল মিয়া আমিরাবাগ বাদামগাছতলায় অবস্থিত তার দোকানে অবস্থান নিলে সাচ্চুর সন্ত্রাসী বাহিনী বাদল মিয়াকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে রহমতপুর খাইটাপট্টি সাইনিং কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বারান্দায় হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।সভাপতি তার সমাপনি বক্তব্যে বলেন,গত ৯ আগস্ট শুক্রবার দুপুরন ১২টায় কেরানীগঞ্জ জিনজিরার রহমমতপুর খাইট্টা পট্রিতে মহান সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদ মোঃ বাদল মিয়া সুরশ্বরীকে (৬০)আমিরাবাগ তার দোকান থেকে তোলে নিয়ে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র নৃশংসভাবে হত্যা করে।শুক্রবার রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ একজন খুনীকেও গ্রেপ্তার করেনি।খুনীরা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।এছাড়াও খুনীরা মামলা থেকে মূল আসামীদেরকে বাদ দেওয়ার জন্য মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী মেহরুনা বেগমকে হুমকী দিচ্ছে বলে নিহত বাদলের পরিবারের পক্ষ হতে অভিযোগ রয়েছে।ঘটনাস্থল সাইনিং স্কুলের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।তবে ধারণকৃত ফুটেজ থেকে এডিট করে কতিপয় আসামীদের ছবি বাদ দেওয়া হতে পারে বলে বাদী পক্ষ সন্দেহ করছে।আমরা সরকারের কাছে এ হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসী সাচ্চুসহ তার বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির জোর দাবী করেন।