• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

উপসচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি: ২ দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেত্রী

/ ৮২ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি:-
এক উপসচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিশাত আহমেদ খানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রশিদুল আলম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ওই মামলায় গত ৪ অক্টোবর সকালে ধানমন্ডি থানা পুলিশ রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার বাদী কুমিল্লা নগরীর রাজাপাড়া এলাকার বাসিন্দা লন্ডনপ্রবাসী মিনহাজুর রহমান।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা খান বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিশাত খান ২০২০ সালের ৫ জুলাই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় (উন্নয়ন ও অধিশাখা) উপসচিব এসএম নজরুল ইসলামের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে প্রবাসী মিনহাজুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অন্যকে হাজির করে ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাটের ভুয়া হেবা দলিল করেন। পরে তথ্য গোপন করে ওই নেত্রী তার নিজের নামে ফ্ল্যাটের নামজারি করে দখলে নেন। ভুক্তভোগী প্রবাসী দেশে ফিরে ফ্ল্যাটের ভূমি কর দিতে গিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারেন। পরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করে। এতে তদন্তে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগটি প্রমাণিত হয়। পরে চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর একই বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইন স্বাক্ষরিত এক পত্রে প্রতারণার মাধ্যমে করা নিশাত খানের নামজারি বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ধানমন্ডি সার্কেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রবাসী মিনহাজুর রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী নিশাত আহমেদ খানসহ তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় প্রতারণার মামলা করেন।

মামলার বাদী মিনহাজুর রহমান বলেন, নিশাত খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, কাবিন ও জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি, চুরি ও অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নীলফামারী জেলায় বর্তমানে ১১টি মামলা চলমান আছে।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘নিশাতের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে এখনও আলোচনায় আসেনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে তা জেনেছি। তিনি (নিশাত) যদি বিচারে দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে গঠনতন্ত্র অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএমপির ধানমন্ডি থানার এসআই মো. খোকন মিয়া সমকালকে বলেন, এক উপসচিবের স্বাক্ষর ও সরকারি দপ্তরের নথি জালিয়াতির চক্রের মাধ্যমে আসামি এ প্রতারণা করেছেন। তিনি একা নন। চক্রের কারণে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। তাই মামলার প্রধান আসামি নিশাত খানের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হয়। তাকে রোববার রাত থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে।


আরো পড়ুন