• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

ভারতে পাচারকালে উদ্ধার ১ নারী, গ্রেপ্তার ২ অপহরণকারী

/ ৭১ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নাটোর থেকে অপহরণ করে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে এক নারীকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। অপহরণ ও পাচারের অভিযোগে এ সময় মো. শাজাহান (৩০) এবং কবির হোসেন (৩৮) নামের দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আশিকুর রহমান জানান, নাটোর সদর থানার একটি অপহরণ মামলার সূত্র ধরে নাটোর ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল সোমবার র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সহযোগিতায় গোয়েন্দা তথ্য ও বিশেষ প্রযুক্তির ভিত্তিতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিমকে অপহরণ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারসহ অপহরণ চক্রের মুলহোতা শাহজাহান এবং কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেই সঙ্গে ভিকটিমের ভারতীয় রুপিসহ স্বর্ণের এক জোড়া বালা, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া রুপার নুপুর ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য যে, মামলার ভিকটিম একজন বিবাহিত নারী। ৭ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে ভিকটিমের সঙ্গে নাটোর সদর থানার ওয়াসিম আকরামের বিয়ে হয়। গত ২ মাস পূর্বে ভিকটিমের সঙ্গে অপহরণ চক্রের মূলহোতা মো. শাহজাহানের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকেই শাহজাহান
ভিকটিমকে ভালো বেতনে চাকুরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতো।

শাহজাহান ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কৌশলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করার উদ্দেশে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভিকটিম বাজার যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে আসামি সিএনজিযোগে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্বামী ওয়াসিম আকরাম বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অপহরণের পর থেকেই র‌্যাব-৫ ভিকটিম উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেপ্তার অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা মো. শাহজাহানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ছোট থাকা অবস্থায় তার মা তাকে নিয়ে ভারতে চলে যায়। পরবর্তীতে গত ছয় বছর আগে সে আবারও বাংলাদেশে আসে এবং যশোর মনিরামপুরের তার বাবা সোবহান আলীর কাছে থাকে। মূলত সে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করে এবং সেই মেয়েদের ভারতে পাচার করে মোটা অংকের টাকা আয় করে থাকে।

এই কাজে তাকে তার বোন জামাই কবির হোসেনসহ আরও অনেকেই সহযোগিতা করে থাকে বলেও জানা যায়।


আরো পড়ুন