• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ন

সাংবাদিককে ‘হেনস্তা’র অভিযোগ সুমনা ইসলামের বিরুদ্ধে

/ ৬৪ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক;-
রাজধানীতে গণমাধ্যম কর্মীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে কথিত ডাক্তার সুমনা ইসলামের বিরুদ্ধে। বিগত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ফ্লাট ভাড়া চুক্তি করে নিজ ফ্লাটে উঠতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেছেন হেনস্থার শিকার ডেইলি ট্রাইবুনাল পত্রিকায় ডিপ্লোম্যাটিক করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক মো. আহ্ছান উল্যাহ্। যার মামলা নম্বর ৫৩৮।

জানা গেছে, হেনস্তার শিকার সিনিয়র সাংবাদিক মো. আহ্ছান উল্যাহ্ কয়েকটি ইংরেজী দৈনিক সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সুদীর্ঘ সময় ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন । বর্তমানে তিনি ডেইলি ট্রাইবুনাল পত্রিকায় ডিপ্লোম্যাটিক করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

মামলা সূত্র জানা গেছে, একটি ফ্লাট যা আইডিএলসি-এর ঋণের টাকায় ক্রয় ও সে ঋণ পরিশোধে মাসে ভাড়া দেওয়ার জন্য চুক্তি করেন সাংবাদিক আহ্ছান উল্যাহর সঙ্গে। ওই বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক এর সাথে পরামর্শ করার জন্য ভবনের নিচতলায় নিরাপত্তা প্রহরীকে অনুরোধ করেন। উক্ত সময়ে ওনাদের কেউ না থাকায় তিনি তার পেশাগত ভিজিটিং কার্ড ও ফ্লাট ভাড়ার চুক্তিপত্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রহরীদের কাছে দিয়ে সিকিউরিটি লবি থেকে স্থান ত্যাগ করেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা জানান তাদের ফ্লাট মালিক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক আসলে তাদের বিষয়টি অবগত করা হবে।

পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিবালয়ে সাংবাদিক আহ্ছান উল্যাহ্ কে একজন সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এর সাবেক স্ত্রী কথিত ডা. সুমনা ইসলাম একটি দরখাস্ত দেন।

এদিকে অপর এক সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের দপ্তরে গেলে সাংবাদিক মো. আহ্ছান উল্যাহ্ এর ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ড দেখেন এবং তার বিরুদ্ধে করা আবেদন পত্রটি পড়েন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তার ও তার পত্রিকার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

ফলে সাংবাদিক মো. আহ্ছান উল্যাহ্ এর প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সাংবাদিক মহলের কাছে তার সম্মানহানী ও হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে ডা. সুমনা ইসলামকে বিবাদী করে মানহানির একটি মামলা দায়ের করেন।

এছাড়াও ডাক্তার পরিচয় দেওয়া ও ডাক্তারি সনদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর চাওয়া ও এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় হেনস্তা ও হুমকির কথা উল্লেখ করে আরও একাধিক সাংবাদিকের ফোন নম্বর উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন কথিত ডাক্তার সুমনা ইসলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক মো. আহ্ছান উল্যাহ্ বলেন, ‘ফ্লাটের মালিকের সঙ্গে আমার পরিচয় বনানিতে। আমার বাড়ি নোয়াখালি। আমি জানতে পারি তিনি নোয়াখালি জেলার একজন সরকারি একজন কর্মকর্তা। দুজনের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। তিনি আমাকে বলেন উত্তরা থেকেতো আপনার অফিস করা সমস্যা আমার একটা ফ্লাট আছে আইডিএলসি থেকে ঋণ নিয়েছিলাম সেটা তো শোধ করতে পারিনি। আমার ফ্লাটটা আছে আপনি ভাড়া নেন। তারপর তার সঙ্গে আমার কথা হলো ফ্লাটের বিষয়ে।

এরপর আমি ১ তারিখ সন্ধ্যায় আমার এক সহকর্মীকে নিয়ে সেখানে যাই। আমার প্লান ছিল ওখানে গিয়ে সিকিউরিটির সঙ্গে কথা বলবো। কথা বলে ওই ফ্লাটের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে সময় নির্ধারণ করে কাগজপত্র কম্পলিট করে তারপর চাবি বুঝে নেবো। সিকিউরিটির সঙ্গে কথা বললাম তিনি বললেন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কেউ নেই। আমি আমার কাগজপত্রগুলো তাকে দিয়ে বললাম সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আসলে আমার কথাগুলো তাদের বলবেন আর তাদের নাম্বারটা কালেক্ট করে আমাকে একটু দেবেন। এটা বলে আমি চলে আসছি।

পরে আমি জানতে পারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের সচিবালয়ে আমার নামে একটা অভিযোগ আছে। আমি নাকি কোন নারীর হাত টানাটানি করেছি। এরপর আমি সেটার একটা কপি সংগ্রহ করি এবং আমি সিএমএম আদালতে মামলা করি। সেখানে আমার চাওয়া ছিল নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টা বেরিয়ে আসুক। আমি অনুরোধও করেছি যে আপনারা পিবিআইতে একটা তদন্ত পাঠান।

আমার মামলা রজু হওয়ার দুই তিনদিন পরে জানতে পারলাম সেই নারী ধানমন্ডি থানায় আমার বিরুদ্ধে একটা জিডি করেছেন। পরে আমি ওসি ধানমিন্ডর সঙ্গে দেখা করলাম কথা বললাম। তারপর তিনি তার জিডির আইও যিনি ছিলেন তাকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছেন ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি একটা ম্যাসেজ দিয়েছেন যে জিডির প্রেক্ষিতে তথ্য প্রমাণ সিসি টিভির ফুটেজ কালেক্ট করুন।

হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে ফ্লাটের সভাপতি নাফিসের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সাধারণ সম্পাদক মাসুদ এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। ফ্লাটের ম্যানেজার তরিকুল বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। ম্যাডাম ভালো বলতে পারবেন।


আরো পড়ুন