• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

চাঞ্চল্যকর ফেরদৌস হাসান হত্যা মামলার মূলহোতা মো: আনোয়ার হোসেন গ্রেফতার

/ ৮৭ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩

প্রেস রিলিজ:-
নিহত ভিকটিম ফেরদৌস হাসান জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। ফেরদৌস মুদি দোকান এর ব্যবসা করত এবং রাতের বেলা মুদি দোকানে থেকে দোকান পাহারা দিত। কিছুদিন পূর্বে আসামী মুর্শেদা আক্তার মিষ্টি ফেরদৌসকে প্রলোভনের ফাদে ফেলে বিয়ে করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে কিছুদিন পর ভিকটিম জানতে পারেন আসামী মুর্শেদা আক্তার এবং তার পূর্বের স্বামী আনোয়ার হোসেন একটি প্রতারক চক্র যারা নিরীহ লোকদের বিয়ের ফাদে ফেলে প্রতারণা করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। ভিকটিম বিষয়টি জানতে পারে আসামী মুর্শেদা আক্তারকে তালাক দেন। তালাক দেয়ার পর আসামী মুর্শেদা আক্তার এবং তার পূর্বের স্বামী আনোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।

গত ১২ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় ভিকটিম অন্যান্য দিনের মত রাতের খাবার শেষ করে মুদি দোকানে রাত্রী যাপন করতে যায়। সকাল আনুমানিক ০৬০০ ঘটিকায় আশেপাশের লোকজন দেখতে পায় ফেরদৌস এর দোকান খোলা এবং দোকানের মালামাল এলোমেলো। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ফেরদৌসকে কোথাও খুজে না পেয়ে তার প্রথম স্ত্রীকে খবর দেয়। ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার স্বামীকে কোথাও খুজে না পাওয়ায় পরদিন বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

নিখোঁজের দুইদিন পর গত ১৪ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৫০০ ঘটিকায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেতে একটি মৃত দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। মৃত দেহটি মাটিচাপা দেওয়া এবং এক হাত বের হওয়া অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে থানা পুলিশ লাশ উঠানোর পর সকলের উপস্থিতিতে উক্ত লাশ ভিকটিম ফেরদৌস হাসানের মর্মে তার স্ত্রী সনাক্ত করে। মৃতদেহের ঘাড় মটকানো এবং মাথার চারপাশে গভীর ক্ষত এবং ডান হাটুতে জখমের চিহ্ন ছিল।

উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের প্রথম স্ত্রী জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানায় ৭জন নামীয় এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৮/৫৮ তাং-১৫ মার্চ ২০২৩; ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ আসামী মুর্শেদা আক্তার মিষ্টি এবং সজীব নামে দুইজনকে আটক করে কিন্তু উক্ত হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনোয়ার হোসেন পলাতক থাকে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে উক্ত হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী এবং এজাহারনামীয় ২নং আসামী আনোয়ার হোসেন আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে জামালপুর হতে পালিয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন মাদাম বিবির হাট এলাকায় আত্মগোপনে আছে । উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১১ এপ্রিল ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ১৮০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী আনোয়ার হোসেন (৪৮), পিতা- মৃত আলম কর্মকার, সাং- উত্তর গামারিয়া, থানা- দেওয়ানগঞ্জ, জেলা- জামালপুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরো পড়ুন