• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

নির্বাচনকে সামনে রেখে ছোট দলগুলোর সঙ্গে ‘দরকষাকষি’

/ ৯৬ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বড় দুটি দল (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) নিজেদের ঘর গোছানোর পাশাপাশি ছোট দলগুলোর সঙ্গে দরকষাকষি করছে। অন্যদিকে ছোট দলগুলোও জোটগত ‘সুবিধা’ আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।

তথ্যমতে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি ছোট দলগুলো জোট গঠনে তৎপর রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত ৩৯ দলের কিছু এবং অনিবন্ধিত বেশ কিছু দল আলাদা জোট গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতে বড় দুটি তাদের শক্তি সুসংহত করতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে আগামী নির্বাচনে সম্মানজনক আসন বণ্টনের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে দল দুটি।

এরইমধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এবং দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে গণভবনে ডেকে একান্তে কথা বলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, গেল নির্বাচনে বিএনপির জোটে থাকা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। যদিও এসব বৈঠকের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি।

এ ছাড়া সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন সরকারপ্রধান। তাদের যৌক্তিক দাবিদাওয়া পূরণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

অন্যদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভাগীয় গণসমাবেশ করে ‘নিষ্ক্রিয়’ নেতাকর্মীদের চাঙা করে সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বার্তা দিচ্ছে বিএনপি। এরইমধ্যে জাতীয় সরকার গঠনের আশা দেখিয়ে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। এর সুফলও পেয়েছি দলটি। সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন ইচ্ছুক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

ইতোমধ্যে সাত দলের সমন্বয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভেঙে সরকারবিরোধী নতুন দুটি জোট হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১২ দলীয় একটি জোট আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করবে ১০ দলের সমন্বয়ে জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোট।

এ দিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জয়ী হলে অংশগ্রহণকারী সব দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বিএনপি জানায়, যারা গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে থাকবে, ভোট শেষে তাদেরকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, বিএনপির ১০ দাবি এবং ২৭ রূপরেখার সঙ্গে ৩৩টি রাজনৈতিক দল একাত্মতা প্রকাশ করেছে। তাদের নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুগপৎ আন্দোলনে মাঠে নামবে বিএনপি।

১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে সক্রিয় রয়েছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অন্য কোনো দল চাইলে ১৪ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে পারে। আমরা তাদের স্বাগত জানাব।


আরো পড়ুন