• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

থানার ভেতরেই ধর্ষণ ও খুনের হুমকি, অঝোরে কাঁদলেন অভিনেত্রী!

/ ৯৮ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২

থানার ভেতরেই পুলিশের কাছে হেনস্তার শিকার অভিনেতা জীতু কমল ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী নবনীতা দাস। ঘটনার সূত্রপাত হয় তাদের গাড়ি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিমতা থানার কাছে তাদের গাড়িতে এসে পণ্যবাহী অন্য একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। তারপরেই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। পরবর্তীতে দুই পক্ষকে থানায় নেওয়া হয়।

নবনীতা ও জীতুর অভিযোগ, সেখানে পুলিশের সামনেই তাদের খুনের এমনকি নবনীতাকে ধর্ষণের হুমকিও দেয় তারা। পুলিশ তাদের কোনো বাধা না দিয়ে ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ওই থানায়ই আটকে থাকে জীতু ও তার স্ত্রী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রী। এমনকি কেঁদেও ফেলেন তিনি। সেখানে পুলিশি হেনস্তার কথাও তুলে ধরেন তারা।

জানা যায়, অভিনেতা জীতু কমল ও তার স্ত্রী নবনীতা দাস বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের নিজস্ব গাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাদের অভিযোগ, সেই সময় নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে তাদের গাড়িকে একটি পণ্যবাহী গাড়ি ধাক্কা মারে। সে সময় অভিনেতাদের গাড়ির চালক সেই গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে গাড়িতে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এরপর অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিযোগ জানাতে গেলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে থানায় তাদের অপেক্ষা করতে হয় এবং ঠিক সেই সময় তাদের গাড়ি চালককে ওই পণ্যবাহী গাড়ি চালকরা হেনস্তা করতে থাকে। তারা তা দেখতে পেয়ে ছুটে যান এবং তাদের চালককে থানায় নিয়ে এলে থানার গেটের মুখে অভিনেত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওই যুবকেরা। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জীতু ও নবনীতা।

লাইভে নবনীতা বলেন, পুলিশির সামনেই তাকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ তাদের কিছুই বলে না। এমনকি ওই যুবকদের ভয়ে থানা থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছেন তিনি। এ কারণে দীর্ঘ সময় থানায়ই বসে থাকেন তারা। সেখান থেকেই লাইভে এসে অভিনেত্রী জানান, তার শরীর খারাপ লাগছে কিন্তু তিনি থানা থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন।

এরপর একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। জানা যায়, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।

পুলিশের দাবি, নবনীতা দাস অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এরপরই অভিযুক্ত গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার ও একজন পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


আরো পড়ুন