• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

কেরানীগঞ্জে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, আহত ৩

/ ১৩৪ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২

ডেস্ক রিপোর্ট:

কেরানীগঞ্জ অসহায় ও দুস্থদের মাঝে সাহায্য দেয়ার সময় রাস্তায় গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থেকে ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১০ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর আমবাগিচা বউবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আয়নাল হোসেনের আত্মীয় রনি ও দারোয়ান আহাদ এবং হাজী ফারুক গ্রুপের সোহেল গুরুতর আহত অবস্থায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে সাহায্য দেওয়ার সময় রাস্তার গাড়ী রাখাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আয়নাল হোসেনের বাড়ির দারোয়ানকে স্থানীয় হাজী ফারুকের লোকজন মারধর করে। একপর্যায়ে গোলাগুলি শব্দ শোনা হয়।

এ ব্যাপারে আয়নাল হোসেন জানান, সকালে তিনি অসহায় দুঃস্থ ও সাধারণ মানুষদেরকে সাহায্য হিসেবে চাল ডাল তেল সহায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দেন। রিকশা ভ্যান গাড়ি মাঝে মাঝে তিনি রাখেন। আজকে তিনি তার বাড়ীর সামনে তার এক আত্মীয়র প্রাইভেট কার রাখেন। স্থানীয় হাজী ফারুকের লোকজনের বিষয়টি সহ্য হয়নি। তখন তারা গাড়ির হেডলাইট ভেঙে দেয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে, প্রথমে বাড়ির দারোয়ানের উপর হামলা করে স্থানীয় হাজী ফারুকের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে কথা কাটাকাটির শব্দ শোনা গেলে আত্মীয়সহ বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন হাজী ফারুক, তার ভাই নুর আলম হাজী ও সেন্টু হাজী, পান বাবুল, হাজী আমির ও তার দুই ছেলে জার্মান ও জনি, সোহেল, এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের গায়ে হাত তুলে এবং আত্মীয়কে অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে।

এ বিষয়ে হাজী ফারুককে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি লাইন কেটে দেন।

পরে তার ভাতিজা জাফরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, জাফর কলটি তার চাচাতো ভাই সাখাওয়াত হোসেনের কাছে দিয়ে কথা বলার জন্য বলেন। সাখাওয়াত হোসেন তখন বলেন, তার এক ছোট ভাই সোহেলকে আয়নাল হোসেনের লোকেরা পিটিয়ে জখম করেছে। তার অবস্থা গুরুতর ও তার চাচাতো ভাই আরাফাতকেও মারধর আয়নাল হোসেন।

সাখাওয়াত হোসেনের কাছে ফাঁকা গুলি করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আয়নাল হোসেন তার বাড়ির ছাদে গিয়ে ছয়টি ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি এখনও পুরোপুরি জেনে বিস্তারিত জানাবো হবে।


আরো পড়ুন