• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

ভান্ডারিয়ায় শিক্ষকের তালাবদ্ধ বসতঘর রহস্যজনক ভাবে আগুনে পুড়ে ছাই

/ ৩৫৬ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

মোঃ বাদল পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার ধাওয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জামাল হায়দার খানের তালাবদ্ধ বসত ঘর রহস্যজনক আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার দিনগত রাত ১১টার দিকে এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ওই শিক্ষকের বসতঘরসহ সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই। ভূক্তভোগি স্কুল শিক্ষক গত এক সপ্তাহ ধরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধিন রয়েছেন। ঘটনার রাতে বসত ঘরে কেউ ছিলনা। এ রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক তার তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে দায়ি করেছেন। এ অগ্নিকান্ডে আনুমানিক দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দাবি করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক জামাল হায়দারের ভাই আবুল কালাম খান জানান, তার ভাই সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে টিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দুর্ঘটনার একমাস পূর্বে ভাই জামাল খান তার স্ত্রী মাহফুজা বেগমকে তালাক দেয়। পরে তিন সন্তান নিয়ে সে সাতক্ষিরায় তার বাবার বাড়ি চলে যায়। গত বুধবার সে ভান্ডারিয়ায় এসে প্রতিবেশী নাসিমা বেগমকে বলে , স্বামীর বাড়িতে যখন তার জায়গা হলোনা তখন ওই বাড়ি জ্বালীয়ে দেব।
বুধবার রাত ১১ টার দিকে তালাবদ্ধ বসত ঘরটি আগুনে জ্বলতে দেখে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস এলাকাবাসির সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষনে বসত ঘরটি মালামালসহ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শিক্ষক জামাল খানের স্ত্রী মাহফুজা বেগম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক নিজেরা ঘটিয়ে আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।
ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, তালাবদ্ধ ঘরে আগুন রহস্যজনক আগুনের কারন উদঘাটন করা যায়নি। এতে আনুমানিক দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


আরো পড়ুন