• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন

একটি বেড়িবাঁধের অভাবে রেজুখাল’ সংলগ্ন উত্তর সোনার পাড়া গ্রামে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য ঘর বাড়ি ও ফসলী জমি

/ ৩৮১ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

এম মোস্তফা কামাল আজিজি: অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকা রেজুখাল’ সংলগ্ন উত্তর সোনার পাড়া গ্রামে রেজুখাল ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভিটেমাটি, বাড়িঘর ও অসংখ্য ফসলী জমিসহ নানা স্থাপনা।
উখিয়ার উপকূলীয় এই এলাকায় রেজু খাল একটি বৃহৎ নদী, যার কুল ঘেঁষে বসবাস করে কমপক্ষে ৮ শতাধিক পরিবার যাদের একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছে ফসলি জমিতে চাষাবাদ এবং সমুদ্রে মাছ ধরা।
সম্প্রতি এ গ্রামের দীর্ঘ ১ কিলোমিটার জুড়ে রেজুখালের ভাঙনে বিগত ৫-৬ বছরে এলাকায় গৃহ হীন হয়েছে প্রায় ৩০ টির অধিক পরিবার।
আর যারা ঘরবাড়ি নিয়ে বর্তমানে বসবাস করছে তাদেরকে ও মানবতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে জোয়ারে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় আশে পাশের সব নলকূপের পানি পান করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এবং ২ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী জোয়ারের পানির কারণে রাস্তা বিলীন হয়ে যাওয়ায় সঠিক সময় বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া দুরস্কর হয়ে পড়েছে। যার কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তাছাড়া প্রতিদিন জোয়ারের সময় লবণাক্ত পানি ফসলি জমিতে প্রবেশ করার ফলে জমি গুলো চাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, প্রথম যখন ভাঙ্গন শুরু হয় তখন এলাকার সবাই মিলে নিজেদের খরচে সাধ্যমত বাঁধ দিয়ে কয়েকবার ভাঙন রোধের চেষ্টা ও করেছিলাম কিন্তু ধীরে ধীরে রেজুখালের তান্ডব এতটাই বেড়েছে যে, গত কয়েক বছরের ভাঙনে সব কিছু ধুঁলিসাৎ হয়ে গেছে। নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া নিজেদের বসতভিটার জায়গাটাও এখন চিহ্নিত করতে পারেন না বলে জানিয়েছেন অনেকে।
এমবতস্হায় অসহায় এসব নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়া খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে দ্বিতীয়বারের মতো ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ করার অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ফলে একটি বেড়িবাঁধের অভাবে বিলিন হয়ে যাচ্ছে গ্রামের অসংখ্য মানুষের ফসলি জমি, ও বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল বসতভিটা। আর তাই এলাকাবসীর চাওয়া নদীতে শক্ত একটি বাধ দেওয়া। যদি বাঁধ হয়ে যায় তাহলে তাদের বাড়ি ঘর ও চাষের জমি হারানোর কোনো ভয় থাকবে না।
এব্যাপারে অত্র এলাকার বাসিন্দা ও ‘জালিয়া পালং ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “হাসিমুখ ফাউন্ডেশন’র সভাপতি মাহাবুব কাউসার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান অত্র এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ রফিক নদী ভাঙন প্রতিরোধে শক্ত একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের আবেদন নিয়ে জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীসহ স্হানীয় মান্যগণ্য সবাই মিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করলেও এখনো পর্যন্ত সেখান থেকে কোনো সাঁড়া মিলেনি।
রেজুখালের এই ভাঙন রোধে শক্ত একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে তাঁদের বসতভিটা আর ফসলি জমি রক্ষা করার জন্য অত্র এলাকার বাসিন্দারা স্হানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রসাশনের সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।


আরো পড়ুন