• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

ডলার কেনাবেচা হবে ব্যাংকের শাখাগুলোতে

/ ৩২৩ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২

এবার ডলার পাওয়া যাবে ব্যাংকের সব শাখাগুলোতে। ডলার সংকট কাটাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকরা ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে চাহিদা অনুযায়ী ডলার কেনাবেচা করতে পারবেন। কোন এলাকার কোন শাখায় এ ধরনের সেবা চালু করা যায় তার একটি তালিকা ব্যাংকগুলোর কাছে চাওয়া হবে। নগদ ডলার কেনাবেচায় মানি চেঞ্জারের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং হুন্ডি প্রতিরোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তে মানি চেঞ্জারের হাত থেকে ডলার ব্যাংকের হাতে চলে আসবে। প্রবাহ বাড়বে ব্যাংকিং চ্যানেলে।

বর্তমান নিয়মে শুধুমাত্র বৈদেশিক লেনদেনে নিয়োজিত ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখাগুলো থেকে নগদ ডলার কেনাবেচার অনুমতি রয়েছে।

এটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামী রোববার আরও বিস্তারিত বলা যাবে।

জানা গেছে, ডলার বেচাকেনার জন্য শুধুমাত্র এডি শাখাগুলোর অনুমতি রয়েছে। অথচ ঢাকার বাইরে এ ধরনের শাখার নাই বললেই চলে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরেই বেশির ভাগ শাখা। অনেক জেলা শহরে এসব শাখা পাওয়া যায় না। ফলে নগদ ডলার কেনাবেচার জন্য মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয় প্রবাসী এবং বিদেশি পর্যটকদের।

ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে ডলার কিনতে হলে অনেক নিয়মের মধ্যে যেতে হয় যা খোলা বাজারে নেই। গ্রাহকদের ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে এনডোর্সমেন্ট বাধ্যতামূলক। এসব কিছু কারণে ডলারের বাজারে চলমান অস্থিরতার পেছনেও মানি চেঞ্জাররা দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে মানি চেঞ্জারদের ওপর নির্ভরতা কমাতে ব্যাংকের এডি শাখার বাইরে অন্যান্য শাখায়ও নগদ ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে শাখাগুলোতে একটি ডেস্কের মাধ্যমেই এ সেবা চালুর অনুমোদন দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স পেয়েছে ২৩৫টি মানি চেঞ্জার। লাইসেন্স দিয়েছে। অথচ দেশে বৈধ-অবৈধ মিলে মানি চেঞ্জারের সংখ্যা ৭৪২টি। তাই অবৈধ ৫০৭টি মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এছাড়া খোলা বাজারে ডলারের অবৈধ ব্যবসায় জড়িত থাকায় পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৪৫ মানি এক্সচেঞ্জকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স না থাকায় আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।


আরো পড়ুন