বরিশাল প্রতিনিধিঃ- বানারীপাড়ায় ১৫ বছর বয়সে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হলেন ৪ নং চাখার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা মৃত্যু নাজেম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুল হাইয়ান এমন টাই অভিযোগ এনে বরিশাল বিজ্ঞ বানারীপাড়া সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং ৪৩/২০২০ দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ১ আদেশের ৮ নিয়ম ও ১৫১ ধারার বিধান মতে চাখার ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মেজবা উদ্দিন সোহেল বাদী হয়ে মোঃ আঃ হাইয়ান, মোঃ রেজোয়ান, মোঃ মহিয়ান সহ ২২ জনকে বিবাদী করে এই ৪৩/২০২০ নং মোকাদ্দমা দায়ের করেন। মোকাদ্দমায় বাদী মেজবা উদ্দিন সোহেল বলেন অভিযুক্ত ঐ মাদ্রাসার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হাইয়ান’র এ অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে তাকে মিথ্যা মামলা সহ হত্যার ও হুমকি প্রদান করে। অপ্রাপ্ত বয়সে অধ্যক্ষ, একই মাদ্রাসায় তিন ভাই অবৈধ ভাবে প্রত্যেতে দুই দুই বার নিয়োগ নেয়া, সরকারী টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ এনে এ মোকাদ্দমা দায়ের করেন।
তিনি তার মোকাদ্দমায় সঠিক তদন্ত পূর্বক বেতনভাতা ও পেনশন ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে এ নিয়োগ প্রাপ্ত ও দীর্ঘদিন সরকারী টাকা অবৈধভাবে ভোগ করার প্রতিকারে এবং একজন দায়ত্বশীল ইউপি সদস্য হিসেবে জনসাধারনের নিশ্চয়তা ও সরকারী সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্বে এ মোক্দ্দমা করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবীতে তিন ভাইয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া গুলো আদালতে পেশ করেন। মোকাদ্দমা অনুযায়ী ১/১/১৯৬০ সালে মোঃ আঃ হাইয়ান জন্ম গ্রহন করেন এবং ১/১/১৯৭৫ সালে চাউলাকাঠী ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন এবং ৩১/১২/২০১৯ সালে তিনি অবসর গ্রহন করেন। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা আইন , নীতিমালা, বিধান প্রো বিধান অনুযায়ী ১৫ বছরে তৎকালীন সময় কামিল পাশ করা সম্ভব নয় এবং ১৫ বছরে চাকুরিতে যোগদানের কোন বিধান নেই এমনটাও ঐ মামলায় উল্লেখ করেন । মোঃ আব্দুল হাইয়ান ঐ মাদ্রাসায় দ্বিতীয় বার যোগদান দেখান ১/৬/৭৬ সালে। তার ইনডেক্স নং পি আর ০৬৪২০০/০৪। এখানে উল্লেখ থাকে যে ১ নং বিবাদী মোঃ আব্দুল হাইয়ান ১৯৭৩ সালে চাখার ফজলুল হক ইনস্টিটিউশন হতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। সেই সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্ম ৩০/১২/১৯৫৮। ২ নং বিবাদী মোঃ রেজোয়ান, ১ নং বিবাদীর আপন ভাই যিনি ঐ মাদ্রাসায় পিয়র হিসেবে নিয়োগ নিয়ে ১৪/১২/২০১৯ সালে অবসর গ্রহন করেছেন। তার ইনডেক্স নং সি এফ ৬৬২৩৭০/১৯। তার জন্ম তারিখ ১৫/১২/১৯৫৯। মোঃ আব্দুল হাইয়ান’র আর এক আপন ভাই মোঃ মহিয়ান, যিনি ঐ মাদ্রাসায় বর্তমানে মালি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার ইনডেক্স নং সি এফ ৬৬২৩৭৪/১৯। মোকাদ্দমায় লিখিত অনুযায়ী তার জন্ম ১২/১০/১৯৬৯ সাল এবং ঐ মাদ্রাসায় তার নিয়োগ দুইবার। ১ম নিয়োগ জন্মের ১২ বছরে।
অর্থাৎ ২০/৬/১৯৮১ সালে এবং ২য় নিয়োগ ১/১২/১৯৯১। চাউলাকাঠী ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা পূর্নাঙ্গ গভর্নিং অনুমোদন ব্যতিত পরিচালনা করায় এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল গত ৯/০৮/২০২০ তারিখ ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযোগের সহিত অগ্রনী ব্যাংক, সাত মসজিদ রোড , ঢাকা শাখায় ৩ হাজার টাকা জমা প্রদান করেন। তিনি গত ১৪/০৩/২০ মহাপরিচালক, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কাকরাইল ঢাকা, ১৫/০৬/২০২০ তারিখ সদস্য সচিব, কল্যান তহবিল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী সুবিধা বোর্ড ঢাকা এবং ১৬/০৬/২০২০ তারিখ সদস্য সচিব কল্যান ট্রাস্ট, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী কল্যান তহবিল, ঢাকা বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
ঐ মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাবের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মেজবা উদ্দিন সোহেল গত ৯/০৭/২০ বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ প্রসংগে বাদী চাখার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড’র ইউপি সদস্যও উপজেলা যুবলীগ নেতা মেজবা উদ্দিন সোহেল, তার বক্তব্যে তিনি বলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অন্যায় ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন।
আমি তার কমী হিসেবে আমার এলাকা ৪নং ওয়ার্ড অবস্থিত চাউলাকাঠি ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসাটি মোঃ আব্দুল হাইয়ান নিজ পারিবারিক প্রতিষ্ঠান মনে করে একটি পবিত্র স্থানকে কলুশিত করছে। অবৈধ ভাবে মনগড়া জন্ম সনদ ও একাদিকবার নিয়োগ নিয়ে সুবিধামত বেতন বোনাস পেয়ে এখন পেনশন পাবার পায়তারা চালাচ্ছে যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। একটি মাদরাসা পবিত্র স্থান, সেখানেই যদি এমন দূর্নীতি, অন্যায় হয় তা কোন মতেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
তাই আমি আমার এলাকাকে দূর্নীতি মুক্ত করতে এই মামলা দায়ের করি। তিনি আরো বলেন আমি এই মামলা করায় আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। যেহেতু আমি সরকারের হয়ে দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি সেহেতু সরকার আমাকে সহায়তা করবে। এ বিষয়ে প্রধান অবিযুক্ত মোঃ আব্দুল হাইয়ান মাওলানার নাম্বরে একাধিকভার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।