• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

তানোর কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে কৃষকের জাল সই করে কৃষি প্রণোদনা উত্তলনের অভিযোগ

/ ৯৯ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩

সারোয়ার হোসেন, তানোর প্রতিনিধি:-
রাজশাহীর তানোরে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ ও তানোর পৌরসভার উপসহকারী এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক কৃষকের নামে জাল সই করে কৃষি প্রণোদনা উত্তলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের নামে ভূয়া তালিকা তৈরি করে সেই তালিকায় জাল সই করে একাধিক কৃষকের নামে কৃষি প্রণোদনা সহায়তা উত্তলন করে আত্মসাৎ করার ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ ও উপসহকারী এমদাদুল হকের শাস্তি মুলক বদলির দাবি।

জানা গেছে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের যোগসাজশে তানোর পৌরসভার উপসহকারী কর্মকর্তা এমদাদুল হক পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক কৃষকের ভুয়া নামের তালিকা তৈরি করে ও জাল সই করে কৃষি প্রণোদনার সহায়তা উত্তলন করে গোল্লাপাড়া বাজারের বিএডিসির সার ডিলার মাইনুল ইসলাম ও গুবির পাড়া মোড়ের বালাইনাশক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের দোকানে রেখে বিক্রি করছেন।

ফলে সরকারের মহত উদ্যোগ কৃষি প্রণোদনা সহায়তার ভুর্তুকির সার বীজ প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত কৃষকরা। আর পকেট ভরছে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্তাবাবুদের। তানোর পৌর এলাকার গুবির পাড়া গ্রামের কৃষক সারোয়ার হোসেন জানান,আউশ ধান রোপণের জন্য সরকার থেকে কৃষি প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করা হবে। তার জন্য পৌরসভার দায়িত্বে থাকা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা এমদাদুল হক ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নেন। কিন্তু চলতি মাসের ২০মার্চ সোমবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপজেলা ও পৌরসভার কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করা হয়। সেই কৃষি প্রণোদনা সহায়তায় আমার নামও দেয়া হয়েছে আবার কৃষি প্রণোদনাও উত্তলন করা হয়েছে। অথচ কৃষি প্রণোদনার একটুও সার বীজ আমি পায়নি। তাহলে আমার নামের কৃষি প্রণোদনার সার বীজ গেলো কথাই। আবার তালিকায় আমার নামের স্বাক্ষরও জাল করে সই দেয়া হয়েছে। যদি কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা এসব দূর্নীতি না করে তাহলে কি বাহিরের মানুষ এসে এসব তালিকা তৈরি করতে পারবে বলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, শুধু এবার কৃষি প্রণোদনা সহায়তা নয়ছয় হয়ে আসছেনা। এই কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ আসার পর থেকে তার মাঠ পর্যায়ের বিএস কর্মকর্তাদের দিয়ে নামমাত্র কৃষি প্রণোদনার তালিকা তৈরি করে প্রকৃত কৃষকদের সহায়তা প্রদান না করে নিজের ইচ্ছে মতো অকৃষকদের কৃষি প্রণোদনার সহায়তা দিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন।

এমনকি কৃষক না হয়েও একাধিক সাধারণ মানুষকে কৃষক বানিয়ে কৃষি প্রণোদনা দেয়ার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন তিনি। তারা আরো বলেন, কৃষি প্রণোদনার সার বীজ খুচরা সার ডিলারদের কাছে রেখে বিক্রি করে আসছেন। অথচ প্রকৃত কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছেন না। যা শুধু একমাত্র কৃষি কর্মকর্তার সেচ্ছাচারীতার কারণে এসব অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ কারীদের দাবি। তানোর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী বিএস কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন,তিনি কৃষি কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে ও তথ্য দিতে পারবেন না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষি প্রণোদনা বিতরণে কোন অনিয়ম দূর্নীতি হয়নি। তবে সরকার দলের নেতাদের চাপে বাধ্য হয়ে কৃষক না হয়েও তাদের কৃষি প্রণোদনা সহায়তা দিতে হয়।


আরো পড়ুন