মোহাম্মদ জানে আলমঃ
চট্টগ্রাম নগরীতে এখন পাঠাও চালিয়ে অর্থ উপার্জন করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু। চট্টগ্রাম নগরীতে “পাঠাও এবং সহজ” এ বাইক চালান কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু। তার পিতা সাবেক জনপ্রিয় সাংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি কর্মকে ঘৃণা করেন না।বেকার শিক্ষিত যুবকররা তাঁকে দেখে উদ্ভুদ্ধ হবেন। তাঁকে দেখে লজ্জা শরম বাদ দিয়ে বৈধ ভাবে অর্থ উপার্জনে মাঠে নেমে পড়বেন অনেক শিক্ষিত যুবকরা।
তিনি সত্যিই একজন মাটির মানুষ। তার ব্যবহার ও আচরণ দেখলে তাঁর প্রতি আপনার মনে শ্রদ্ধাবোধ আসবেই। ওনার ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে পোষ্ট টা হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ বেকার শিক্ষিত, যুবক, তরুণ, যুবতী ও তরুণীদের জন্য- “পড়ুন এবার কাজে নেমে পড়ুন”
যে বাইক বা কারটি এতদিন আপনাদের কাছে সৌখিন ছিল ওপরোক্ত কোম্পানীর কারনে তা এখন আপনার রুটি রুজির অংশ।স্বাধীন পেশা,প্রয়োজনের তাগিদে উপার্জনের মাধ্যম নচেৎ সৌখিনতার অংশ। শিক্ষার হার যেমন বাড়ছে তেমনি উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। অংকের সংখ্যা হেরফের করে জিড়িবি’র প্রবৃদ্ধি উচ্চ সূচকে দেখানো যায় কিন্তু দেশের বেকারত্বের হারকে কাষ্টমাইজ করা যায়না।
এই সময়ে এ্যাপস ভিত্তিক রাইড় শেয়ারিং তাই যুব সমাজের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।বাইকে একটু খাটুনি দিলে হাজার টাকা দিনে রোজগার করা যায়, যেখানে পূঁজি এক লক্ষ হলেই চলে সাথে বৈধ কাগজ পত্র।মাসে ত্রিশ হাজার টাকার একটি চাকরির জন্য আমরা কত কিছুইনা করি,,,জমি জমা বিক্রি করে নেতার পিছু পিছু ২/৪/৫/১০/২০,,,লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি হয়ে যায় সোনার হরিণের মত অধরা। অন্যদিকে টাকা ফেরত না পেয়ে আত্মহত্যা,মাদকাসক্ত, দেশান্তরি থেকে শুরু করে অনেক কিছুতেই জড়িয়ে পড়ছে দেশের প্রাণশক্তি যুবসমাজ।
মোদ্দাকথা পাঠাও,ওবার,ওভাই,সহজ এগুলো ড্রাইভিং পেশাটির সম্মান বৃদ্ধি করেছে।একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে অল্প পূঁজিতে যে কেউই এই পেশায় আসতে পারে এবং এসেছেও,এমনকি মেয়েরাও, লজ্জা,শরম ,ইগো,পাছেলোকে কিছু বলবে এই বিষয়গুলো মাথা থেকে ঝেড়ে আমার মত আপনিও নেমে পড়ুন রাস্তায়, সহজ পন্হায় হালাল পথে বৈধ ইনকাম। কারো দয়ায়, কারো দাক্ষিণ্যে বা করুনায় বেশি দিন চলা যায় না। কেউ আপনাকে চাকরি দিবে বা কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকাটা চরম বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।
অন্তত যতদিন পর্যন্ত আপনার যোগ্যতানুযায়ী কিছু করতে পারছেন না ততদিন পর্যন্ত চালিয়ে যান।
কথায় আছে অভাব দরজা দিয়ে ঢুকলে ভালবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়, সুতরাং ঘরের মানুষের কাছে বোঝা এবং বাইরের মানুষের কাছে মজা না হতে চাইলে এখনি সিদ্বান্ত নিন আপনি কি করবেন?? মনে রাখবেন “ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাসাগর, বড় কিছু পেতে চাইলে ছোট দিয়েই শুরু করুন, আজকের ছোট কাজের অভিজ্ঞতা আগামীকালের বড় কাজের প্রেরণা হয়ে আপনার সাহস সঞ্চার করবে। বিঃদ্রঃ-আমাকে রাইড় শেয়ার করতে দেখে কেউ লজ্জা পেলে তার জন্য আমি দায়ী নই।