• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

কুমিল্লা নামে বিভাগ চাই কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি

/ ৬৭ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেলপথে নিয়ে এলো এক নতুন চমক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সর্বপ্রথম চালু করা হয়েছে একজোড়া কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামের ট্রেন। কম খরচে আরামদায়ক ভ্রমণ করা যায় রেল পথে।

ট্রেনটি সকাল ৬.১৫ মিনিটে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে , কুমিল্লা হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে পৌঁছে। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে রয়েছে ১৬ টি বগি। ৭৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে কক্সবাজারে উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যেহেতু কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি আমাদের কুমিল্লা জেলা উপর দিয়ে অতিক্রম করে কিন্তু কুমিল্লায় কোন বিরতি দেয় না। তাই আমাদের কুমিল্লা বাসীদের দাবি কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেন কিছুক্ষণের জন্য আমাদের কুমিল্লা জেলায় বিরতি দেয়।

এতে আমাদের কুমিল্লার জনগণের কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভ্রমণের সুযোগ হবে। কুমিল্লার মানুষ খুব সহজেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে পারবে। ট্রেন পথে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করার হয়রানি ও ঝামেলা থাকবে না। কক্সবাজার এই একজোড়া ট্রেনটি শুধুমাত্র ঢাকা বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে থাকে। আমাদের কুমিল্লা জেলায় কেন বিরতি দেওয়া হয় না?

আমাদের কুমিল্লা অনেক দিক দিয়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। তাহলে আমরা কেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে পারবো না রেল পথে! আমাদের কুমিল্লার রাজনৈতিক, শিক্ষা , কুটির শিল্প এবং তাঁত কারু শিল্পে ও কুমিল্লার রসমালাই ও মিষ্টি এবং ময়নার মধ্যে শীতল পাটি দেশ জুড়ে রয়েছে অনেক খ্যাতি। কুমিল্লা জেলার রয়েছে কয়েকটি গ্যাস খনি এ জেলা বর্তমানে কুমিল্লায় একটি জনসাধারণের জীবন তো ভান্ডার।

কুমিল্লা জেলা অর্থনৈতিক দিয়ে খুবই মজবুত এবং সমৃদ্ধশালী, এ জেলায় দারিদ্র্যতার হার অনেক কম। ঐতিহাসিক রহস্যময় অনেক কিছুই এ জেলায় রয়েছে। প্রাচীন মোগল আমলে অসংখ্য মসজিদ কুমিল্লায় রয়েছে এরই মধ্যে অন্যতম হল কুমিল্লা মোগলটলী গাংচর এলাকায় শাহ্সুজা মসজিদ, লাকসামে পশ্চিমে কাজী মসজিদ, লালমাই পাহাড়ের চূড়াঁয় আদিনা মসজিদ এবং বুড়িচং এলাকায় ভারেল্লা মসজিদ।

কুমিল্লার অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি কৃষিকাজ হলেও প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ ব্যবসায় এর সাথে জড়িত। তাছাড়া কুমিল্লা দুইটি শিল্পনগরী রয়েছে। কুমিল্লায় রয়েছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা জেলায় আরও রয়েছে কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজ, তাছাড়া আরও তিনটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ।

কুমিল্লা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেছেন অনেক গুণীজনেরা। কুমিল্লা জেলায় ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম রয়েছেন স্বর্ণাক্ষরে । ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ও সুরকার শচীনদেব বর্মন, ওনারা কুমিল্লার কৃতি সন্তান ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সর্বপ্রথম রূপায়ণ করেন শিব নারায়ন দাস, অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল। কুমিল্লা নারী জাগরণের অগ্রদূত সুফিয়া কামাল, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরী এ জেলায় আলো বাতাসে গায়ে মেখে বেড়ে উঠেছেন।

কুমিল্লা জেলা আন্দোলনে দিক থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে। ১৭৬৪ সালে শমসের গাজীর নেতৃত্বে গঠিত ত্রিপুরা রাজাদের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনে একটি উজ্জ্বল ও অন্যতম ঘটনা । বর্তমানে কুমিল্লা জেলার আয়তন প্রায় ৩ হাজার ৭৮ বর্গ কিলোমিটার। মোট ১৭ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত আমাদের এই কুমিল্লা জেলা। এখানে ৬২ লাখ ১২ হাজার ২১৬ জন লোকসংখ্যা বসবাস করে। কুমিল্লা জেলার জনগণকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও কক্সবাজার রেল স্টেশন আইকনিক দেখার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয় কুমিল্লাবাসীর অনুরোধ থাকবে যে, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেন কুমিল্লায় বিরতি দেয়।

ট্রেনটির রাত ৮.০০ ঘটিকায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছায় ১০.৫০ মিনিটে। ২৫ মিনিট বিরতি দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনটি রাত সোয়া ১১ টায় ছেড়ে শেষ রাতের দিকে ৩:৫০ মিনিটে এ পৌঁছায় ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে। যেখানে তিন মিনিট বিরতি দিয়ে ভোর সাড়ে চারটায় কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছায় একইভাবে ট্রেনটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় ছেড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছায় ৬টা ৪৩ মিনিট ছেড়ে। বেলা ১১ঃ ২০ মিনিট এ চট্টগ্রাম পৌঁছায় যেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে দেয় এবং তিনটায় কক্সবাজার আইকন সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পর্যটকদের নিয়ে যায়। আমরা কুমিল্লাবাসী ও এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।


আরো পড়ুন