• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

মাদক ও জুয়ার হটস্পট ষোলশহর রেলস্টেশন

/ ৫৪ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর রেলস্টেশনটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ স্থান পাড়ি দিয়েই প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যায় এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বেশকিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকায় নগরবাসীর কাছে এলাকাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই স্থানটিই এখন পুরোপুরি পরিনত হয়েছে জুয়ার মাদক ছিনতাই চোরের হটস্পট। তাছাড়া জুয়ার, ছিনতাই, মাদকের পাশাপাশি প্রকাশ্যে চলছে অশালীন ব্যবসা। প্রাপ্ত বয়স্করাতো আছেই অত্র এলাকার উঠতি বয়সি যুবকরাও দিন দিন জড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা জুয়া ও মাদকের ছিনতাই নেশায় ফলে এই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে বেড়েছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড। মূলত জুয়ার আসরটিকে কেন্দ্র করে আশেপাশে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট টিনের তৈরী ঘর। আর এই ঘরগুলোতে দিনরাত চলে মাদক ও নারী ব্যবসা। বছরখানেক আগেও নিয়মিত পুলিশের অভিযান দেখা গেলেও এখন কোন এক অদৃশ্য ইশারায় অভিযান নেই বললেই চলে বলছেন এলাকাবাসী। এদিকে অত্র এলাকার জুয়ার বোড ও মাদকের স্পটগুলো রীতিমতো এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের অভিযান না থাকায় দিনের পর দিন বেড়েই চলছে এই অপরাধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, জুয়ার বোড যারা নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রশাসনের সাথে তাদের রয়েছে দারুন সখ্যতা। এলাকাবাসী আরো জানান নিয়মিত জুয়া ও মাদকের স্পটগুলো থেকে প্রশাসনকে মাসোহারা দিয়ে থাকে নিয়ন্ত্রণকারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষোলশহর রেলস্টেশন বিপরীতে বেশ কয়েকটি ঘরে হরদমে চলছে জুয়া। আবার এই ঘরগুলোর পাশেই চলছে নারী ব্যবসা আবার কিছু কিছু ঘরে বসেছে ইয়াবার আসর। গোধুলী বিকেলের পর সন্ধ্যা নেমে আসলেই মাদক, জুয়ার আসরগুলো জমজমাট হতে শুরু করে। বলতে গেলে তখন অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে এই অপরাধ৷ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এইসব মাদক, জুয়া নিয়ন্ত্রণ করে রমজান প্রকাশ জুয়ারি রমজান এবং দেখভাল করে সাজেদুল ওরফে জামাই নামক এক জৈনক ব্যাক্তি। রমজান এলাকার চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে এলাকাবাসী ও পুলিশের কাছে বেশ পরিচিত। নগরীর বেশ কয়েকটি থানায় একাধিক মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে। ফলে জুয়ার ও মাদকের বিষয়ে এখানকার কেউ সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান রমজান ও কথিত জামাইয়ের অনেক ক্ষমতাধর। তাদের বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে যদি কেউ মুখ খোলে তাকে গুনতে হবে মিথ্যা মামলা হামলা এবং কি মৃত্যুর দুয়ারো পর্যন্ত পৌঁছার সম্ভাবনা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের আরো কয়েকজন আমাদের প্রতিবেদক কে জানান , এই জুয়ার বোর্ডটির কারনে এলাকায় বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। চুরি, ছিনতাই, ইভজিটিং বেড়ে গেছে। রাতেতো দূর দিনদুপুরেও চলাফেরা করতে পারছিনা। আর এলাকার উঠতি বয়সি ছেলেরাতো দিন দিন অধপতনে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেদক স্থানীয় দের কাছে জানতে চাইলে  আপনার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না কেন? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তারা বলেন, পুলিশকে কি বলবো? পুলিশকে অভিযোগ দিলে পুলিশ নিজে যেই নাম্বারে অভিযোগ করেছে, সে নাম্বারটিও তাদের কাছে দিয়ে দেয় আর পরে অভিযোগকারীর উপর চলে রমজান ও তার দলবলের অত্যাচার। আর তাই রমজানের ভয়ে শুধু আমরা কয়েকজন কাকে বিচার দিব কাকে বলব, আমরা কয়েকজন ছাড়া তো এখানে  এখানের কেউই মুখ খুলেনা।


আরো পড়ুন