• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, কোটা কেন বাতিল নয় : হাইকোর্ট

/ ১১১ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কোটার ভিত্তিতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কোটা প্রথা কেন বাতিল করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯-এর ৮(২)(গ) এবং (ঘ) বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন বাতিল ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং মেধা তালিকা অনুসারে নিজস্ব জেলা এবং উপজেলায় শূন্যপদে রিট আবেদনকারীদের নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোর্শেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

অ্যাডভোকেট শামীম সরদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিতে গত ১৪ ডিসেম্বর (বুধবার) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বরাদ্দ রেখে ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনের ২(ঘ) অনুসরণ করা হয়। যেখানে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট পুরুষ ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা হয়। এটি সংবিধানের ২৯ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অসাংবিধানিক। দেশে শত শত শিক্ষিত বেকার যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে মাত্র ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রেখে এ নিয়োগ হতে পারে না। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।


আরো পড়ুন