• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:৪০ অপরাহ্ন

কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্কুলে কর্মরত শিক্ষকেরা।

/ ৩২৪ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৪৭ নং মধ্য শিয়ালকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা অত্যাচারে অতিষ্ঠ ঐ স্কুলে কর্মরত শিক্ষকেরা। বেশ কয়েক দিন ধরে স্কুলের শিক্ষকদের উপর নানাভাবে খবরদারি করে আসছে স্কুলের জমিদাতা মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা ।

আজ বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালীন সময় দুপুর ১২ টায় দাতা সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা স্কুলে আসেন । স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে টেবিলের উপর পা তুলে শিক্ষকদের নানারকম আদেশ নির্দেশ করতে থাকেন । এ নিয়ে শিক্ষকদের সাথে বাকবিতন্ডা হলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিনকে জুতা দিয়ে মারতে ওঠেন ।

সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, জমিদাতা ইউনুস মোল্লা আজ বিদ্যালয়ে এসে তার কাছে স্কুলের স্টিল আলমিরার চাবি চান । তিনি চাবি দিতে অস্বীকার করায় তার উপর ক্ষেপে গিয়ে তাকে নানা রকম অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকেন । একপর্যায়ে ইউনুস মোল্লা তার পায়ের জুতা খুলে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের সামনেই তাকে মারতে উদ্যত হন ।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের এ অপমানের বিচার চেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ।

বিদ্যালযয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আফরোজা আক্তার এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এ ঘটনার বিচার দাবি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি ।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল হাকিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছাড়া শিক্ষক হাজিরা খাতায় অন্যকেউ মন্তব্য লেখার অধিকার রাখেন না । এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি । অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে ।

কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু বলেন, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন । সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

উল্লেখ্য,বিদ্যালয়ের জমিদাতা মোঃ ইউনুস মোল্লা বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী । তিনি কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসেন। গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি বিদ্যালয় আসেন । বিদ্যালয়ে এসেই তিনি শিক্ষক হাজিরা খাতা নিয়ে হাজিরা খাতায় উল্টাপাল্টা মন্তব্য লেখেন । এরপর শিক্ষকদের নানাভাবে লাঞ্চিত করতে থাকেন ।


আরো পড়ুন