• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

লৌহজং থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার: অপহরণকারীসহ গ্রেফতার ০৫

/ ৯০ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
অপহৃত ভিকটিম (১৮) মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানাধীন একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। কলেজে আসা-যাওয়া পথে প্রতিবেশী মোঃ লিমন শিকদার ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। ভিকটিম বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে ভিকটিমের মা-বাবা লিমনের পরিবারকে বিষয়টি অবগত করে উত্যক্ত না করতে অনুরোধ করেন। এতে লিমন এবং তার পরিবারের লোকজন ভিকটিমের মা-বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মেয়েকে যে কোন সময় তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করে।

পরবর্তীতে গত ০৯ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ ভিকটিম প্রতিদিনের ন্যায় কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে লৌহজং থানাধীন বেজগাঁও এলাকার পৌছালে সেখানে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা লিমন এবং তার সহযোগীরা ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাড়ীতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ভিকটিম কলেজ থেকে যথাসময়ে বাড়ী না ফেরায় ভিকটিমকে খোঁজাখুজি একপর্যায়ে বেজগাঁও এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, তাদের মেয়েকে লিমন শিকদার এবং তার সহযোগীরা অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।

পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গত ১১ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ মোঃ লিমন শিকদার’কে প্রধান এবং আরো ০৪ জনকে আসামি করে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৫, তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২৩, ধারা- ৭/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতনী দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০২০)।

পরবর্তীতে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে নিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে জানতে পেরে ভিকটিমের পরিবার তাদের মেয়েকে উদ্ধারের জন্য র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত আবেদন দাখিল করে। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে।

নজরদারীর এক পর্যায়ে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার কামরাঙ্গিরচর এর উদ্দেশ্যে গমন করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র‍্যাব-১০, ঢাকা এর যৌথ আভিযানিক দল গত ১৭ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় পথিমধ্যে ঢাকার মহানগরীর পল্টন থানাধীন গোলাপ শাহের মাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী আসামি ১। মোঃ লিমন শিকদার (৩০), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, ২। মোঃ রফিকুল ইসলাম শিকদার (৫৪), পিতা-মৃত কালাই শিকদার, ৩। রিমা বেগম (৪৮), স্বামী-মোঃ রফিকুল ইসলাম, ৪। সিনথিয়া বেগম (২৮), স্বামী-মোকাদ্দেছ হোসেন, এবং ৫। মোকাদ্দেছ হোসেন (৩৪), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, সর্ব সাং-বেজগাঁও, থানা-লৌহজং, জেলা-মুন্সিগঞ্জদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিগণ বর্ণিত নাম ঠিকানা প্রকাশ করতঃ অপহরণ মামলার এজাহার নামীয় আসামি মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের লৌহজং থানায় হস্তান্তর করা হয়ে।


আরো পড়ুন