• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন

শিশু ইব্রাহিম খলিল হত্যা মামলার মূল ঘাতক আল আমিন সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার!

/ ৭৯ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
গত ০৪/০৯/২০২৩ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৫৫মিনিটের সময় বাদী জেসমিন আক্তার(৩৬), স্বামী- মাসুদ রানা, সাং- বরুড়া (পাঠান পাড়া), ০৩নং ওয়ার্ড, বরুড়া পৌরসভা, থানা- বরুড়া, জেলা-কুমিল্লার ছোট ছেলে ইব্রাহিম খলিল(৮) বরুড়া পাঠানপাড়া মাদ্রাসা হতে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে আসে। পরে তাঁর পরিহিত পাঞ্জাবি খুলে খেলাধুলা করার জন্য ঘর হতে বের হয়ে বরুড়া থানাধীন পৌরসভাস্থ পাঠান পাড়া তিন রাস্তা মোড়ের এয়ারটেল টাওয়ারের সামনে রাস্তার উপর যায়। পরবর্তীতে একই তারিখ সন্ধ্যা হলেও বাদীর ছেলে বাড়ি না ফেরায় বাদী এবং বাড়ির লোকজনসহ তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা, বাদীর আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে গত ০৬/০৯/২০২৩ইং তারিখ দুপুর ১২.৩৫ মিনিটের সময় অত্র থানাধীন ০২নং ভবানীপুর ইউপি পোমতলা সাকিনস্থ জনৈক মুকবুল তাঁর দেখতে পায় যে, তাঁর বাড়ির টিনের বাউন্ডারীর গেইটের তালা ভাঙ্গা। মুকবুল বিষয়টি দেখে বাড়ির বাউন্ডারী খুলে বাড়িতে প্রবেশ করে দেখতে পায় যে, তাঁর বাড়ির উঠানে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের প্রবেশ করার চিহৃ রয়েছে। পরে তিনি তাঁর ঘরের সামনে গিয়ে দেখতে পান যে, তার ঘরের তালার কড়া ভাঙ্গা অবস্থায় ঝুলে আছে এবং তাঁর বাড়ির দোচালা টিন শেড ঘরের দক্ষিন পাশে লেবু গাছের নিচে আলগা মাটির জমাট। তখন মুকবুল বাড়ি হতে বের হয়ে দ্রুত পাশের জমিতে কাজ করে তাঁর বাড়ির পাশে মোঃ শফিক (৩৬)কে ডাক দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং ঘটনার বিষয়ে অবগত করে।

তখন মোঃ শফিক এর হাতে থাকা কোদাল দিয়ে উক্ত নতুন মাটি ভরাটের জায়গা খুঁড়ে মানুষের হাতের কনুই দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে তাঁর কৃষি জমিতে চলে যায়। পরে মোঃ শফিকের রেখে যাওয়া কোদাল দিয়ে মুকবুল উক্ত মাটি আবার খুঁড়তে গিয়ে মানুষের আঙ্গুল সহ হাত দেখতে পায়। পরে মুকবুল বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে স্থানীয় চেয়ারম্যান বরুড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে বরুড়া থানা পুলিশ স্থানীয় গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে উক্ত লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে ভিকটিমের মা জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে বরুড়া থানায় এজাহার দায়ের করলে বরুড়া থানার মামলা নং-০৭, তাং-০৭/০৯/২০২৩ইং, ধারা-৩৬৫/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।

মামলা রুজুর পরপরই সম্মানিত পুলিশ সুপার, কুমিল্লা জনাব আব্দুল মান্নান বিপিএম বার এর দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এর সার্বিক সহযোগিতায় তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ বরুড়া থানার একটি চৌকস টিম মামলার মূল আসামীকে গ্রেফতারের জন্য বরুড়া থানা সহ কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও বিশেষ গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামী আল আমিন (২৫)’কে গত ০৭/০৯/২০২৩ইং তারিখ বিকাল ০৩.২০ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানাধীন বাঁশতলা সাকিনে আসামীর খালার বাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত আসামী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অত্র মামলার ভিকটিম ইব্রাহিম খলিল (৮)’কে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়েছে এবং উপরে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।


আরো পড়ুন