• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

যাদুকাটা নদীর ঘাগড়া-লাউড়েরগড় নৌকা ঘাটে খাস কালেকশন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

/ ৬৩৮ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার ঘাগড়া হতে লাউড়েরগড় পর্যন্ত নৌকা ঘাটে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে খাস কালেকশনের মাধ্যমে টোল আদায়ের স্থগিতাদেশ জারি করে উচ্চ আদালত। এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে আবেদনকারি মুনসুর আলমকে কেন ঘাট বুঝিয়ে দেয়া হবেনা মর্মেও রুল জারি করে উচ্চ আদালত।

জানাযায়, মোল্লাপাড়া গ্রমের হাজী বাচ্চু মিয়ার
মুনসুর আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে উচ্চ আদালত বিভাগ (বিশেষ মূল বিচার বিভাগ) রিট পিটিশন নং ৭৪৭৬ এর ২০২৩ সালের ০৫.৪৬.৯০৯২.০০০.০৮.০১০.২০-২৮০ নং স্মারক মূলে
গত (২০ জুন মঙ্গলবার) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয় গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এবং আগামি ১ সপ্তাহের মধ্যে ঘাগড়া হতে লাউড়েরগড় পর্যন্ত নৌকা ঘাটের টেন্ডার আবেদনকারিকে কেন ঘাট বুঝিয়ে দেয়া হবেনা এ মর্মে রোল জারি করেন।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওর দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনির বলেন, আন অফিসিয়াল এরকম একটি কাগজ পেয়েছি, এটি অফিসিয়াল পাওয়া মাত্রই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য: গত ১৪২৯ বাংলা সনে পাতারগাঁও নৌকাঘাট থেকে ৪১,৮৬৮ টাকা, ঘাগড়া হতে লাউড়েরগড় নৌকাঘাট থেকে ৮৮ লাখ ৯হাজার ৬৫০ টাকা, ডাম্পের বাজার নৌকাঘাট থেকে ১৮লাখ, বাদাঘাট বাজার নৌকাঘাট থেকে ১লাখ ৩০ হাজার এবং শ্রীপুর বাজার নৌকাঘাট থেকে ৮০ লাখ ৩৮ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যে ইজারা প্রদান করা হয়েছিল। সম্প্রতি এসব নৌকাঘাটের ইজারার মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় ইজারার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। কিন্তু আগ্রহী দরদাতা না পাওয়ায় ও মামলা জটিলতা থাকায় এসব নৌ ঘাটের ইজারা প্রদান করা যায়নি। ইজারা মেয়াদ উর্ত্তীন এসব নৌকাঘাট খাস কালেকশনের জন্য উন্মুক্ত নিলাম পদ্ধতি অনুসরণ না করে ওইসব নৌকা ঘাট থেকে খাস কালেকশনে নামে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে ওইসব নৌকা ঘাটের মধ্যে উপজেলার অন্যতম ঘাগড়া-লাউড়েরগড় নৌকা ঘাটটি তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীনে খাস কালেকসনের জন্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভূমি অফিসকে নামে মাত্র সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট খাস কালেকশনের নামে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠে। পরে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়,
যেখানে সরকারিভাবে মালামাল বহনকারী নৌকা থেকে নুন্যতম ১’শ থেকে সর্বোচ্চ ৭’শ টাকা টোল আদায় করার কথা থাকলেও প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে ওই সিন্ডিকেট চক্রটি ৫’শ থেকে ৩ হাজার হাজার টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করছে এমন তথ্য উঠে আসে। এবং নৌকাঘাটে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকা টোল আদায় করা হলেও সরকারি কোষাগারে সর্বসাকূল্যে জমা করা হচ্ছে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার থেকে পনের’শ টাকা। একই চিত্র উপজেলার খাস কালেকশনকৃত অন্য নৌকাঘাট গুলোর।
পরে গত ২জুন ২০২৩ ইং শুক্রবার তাহিরপুরে খাস কালেকশনের নামে লুটপাট, রাজস্ব বঞ্চিত সরকার শিরোনামে জাতীয় দৈনিক সংবাদ সহ বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।


আরো পড়ুন