• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

মাধবপুর সাবরেজিস্টার অফিসে জালিয়াতির অভিযোগ!

/ ১০২ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩

মোঃ শাকিল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:-
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশ পুর সাবরেজিস্টার অফিসে অবৈধ ভাবে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় মাধবপুর উপজেলার হরিতলা মৌজায় পাইওনিয়ার ডেনিম বাদশা কোম্পানির সংলগ্ন জমি জনৈক নাজমুল হক দিয়ারিশ গং থেকে আরিফুল ইসলাম জিয়া ৭৫ শতক জমি ৭৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে৷ ৩০/০৫/২১ ইং তারিখে ৩৪৭৪ নং দলিল মুলে অফেরতযোগ্য পাওয়ার অব এটর্নি নেয়।এবং পরবর্তীতে আরিফুল ইসলাম জিয়া পাওয়ার অব এটর্নি ক্ষমতা বলে মো: সাদ্দাম হোসেনের কাছে ৩১/০৫/২১ ইং তারিখে ৩৫৯৬ নং দলিল মুলে বায়না রেজি: করে দেন।


কিন্তু নাজমুল হক দিয়ারিশ পাওয়ার অব এটর্নি গ্রহীতা আরিফুল ইসলাম জিয়া কে অবগত না করেই গত ২৮/০৫২৩ ইং তারিখে ৪১২৮ নং দলিল মুলে পাওয়ার অব এটর্নি বাতিল করেন। এ ব্যাপারে হরিতলা এলাকার সুনামধন্য এক কোম্পানির প্ররোচনা রয়েছে বলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সাবরেজিস্টার অফিস সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান।


অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লাল কে টাকা দিলে অসম্ভব কে সম্ভব করা সময়ের ব্যাপার। টাকার গন্ধে নাকি সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লাল দলিল দাতা গ্রহীতা সম্মুখে হাজির না করেই অগনিত দলিল সম্পাদন করে আসছে।এতে সহযোগিতা করছে কিছু অসাধু দলিল লেখক। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়ার অব এটর্নি বাতিল করে অভিযোগ কারী আরিফুল ইসলাম জিয়া কে বিপদে ফেলা সহ আর্থিক ক্ষতি সাধন করা ই নাকি নাজমুল হক দিয়ারিশ এর মুল লক্ষ্য।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম জিয়া প্রতিবেদককে বলেন, আমি আমার শেষ সম্বল বাড়িটুকু বিক্রি করে দিয়ারিশের কথা মত টাকা নিয়ে ঘুরছি, থানা পুলিশ সহ বিভিন্ন জনের মাধ্যমে দিয়ারিশকে প্রস্তাব করেছি বাকি টাকা নিয়ে আমাকে আমার জমি বুঝিয়ে দিতে।

কিন্তু সে আমার ৭৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ার পয়তারা করে জমি অন্যকে লিখে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন এ ব্যাপারে আমি সাবরেজিস্টার কে অবগত করে একটি আবেদন দিয়েছি। উনি রিসিভ কপিও আমাকে দিয়েছেন, কিন্তু আমি খবর পাচ্ছি, সাবরেজিস্টার অফিসের লোকজন অফিসে বসে দলিল না করে কমিশনে দলিল সম্পাদন করার পক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।


যদি দলিল সম্পাদন করেই ফেলে তাহলে আমার আত্নহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
জানতে চাইলে সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লাল বলেন, আমি আরিফুল ইসলাম জিয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অফিসের সবাইকে অনুলিপি দিয়েছি,সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দলিল বন্ধ থাকবে।


আরো পড়ুন