স্টাফ রিপোর্টারঃ
সড়কে গাড়ি নিয়ে ঘুরে আর পুলিশ পরিচয়ে ধান্দা করে,বুঝার উপায় নাই আসল পুলিশ না নকল পুলিশ,বেশিরভাগ সীমান্ত রোডে সাথে হাতকড়া ও ওয়াকিটকি থাকে ফলে ভূয়া পুলিশ চক্র আবারও সক্রিয়,তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ইতিপূৰ্বে ভূয়া পুলিশ চক্র গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়েই আবারো অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে
সোর্স দুলাল প্রকাশ বিল্লাল ওরফে বাদল(৪০)গত০৩ফেব্রুয়ারী২০২৩ইং রাত অনুমান সাড়ে ০৮টায় ছাওয়ালপুর গ্রামের টুনি বেগম(৩০) স্বামীঃআনার হোসেন এর ঘরে তল্লাশি চালানোর পর গ্রেফতার ও মামলার ভয় দেখিয়ে নগদ ৩০হাজার টাকা আদায় করে।টুনি পরিবারের অভিযোগ,সাদা পোশাকের ২/৩জন এসে পুলিশ পরিচয়ে বলে মাদক ও ছেনি উদ্ধার করেছে এসময় একজন কে আটক করে৩০হাজার আদায় করে এবং আরেকজন কে হাতকরা লাগিয়ে সাদা প্রাইভেটকারে তুলে গোমতী বাঁধে(আবুল হোসেন মিয়ার বাড়ীর সামনে)গিয়ে ধর দাম নির্ধারণ শেষে ৩০হাজার টাকার বিনিময় ছাড়ে।
স্থানীয়রা বলেছেন,এদের একজন সোর্স দুলাল ওরফে বিল্লাল প্রকাশ বাদল ও মফিজ। আটক কৃত যুবকের বাড়ী মুরাদনগর উপজেলা সে মাদক সেবনের জন্য আসে।
ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে সোর্স দুলালরা এপ্রতিবেদক কে জানান,ফেন্সিডিল ও স্কাফ এবং ধারালো ছেনি উদ্ধার করা হয়েছে,এবিষয়ে মামলা নিবে।তবে এপ্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলা নেয়নি।
শুধুতাই নয়,বহু মামলার আসামী সদ্য জেল ফেরত মাদকের ডন কুখ্যাত গরু চোর সাজ্জাত ওরফে পুলিশের সোর্স সাজ্জাত(৩৯)রাস্তা থেকেই ধরে নিয়ে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় অথবা হাতকড়া লাগিয়ে বিকাশে(মুক্তিপণ) টাকা আনায় চাহিদা মত টাকা না পেলে মাদক দিয়ে চালান দেয়।
অনুসন্ধান সূত্র ধরেই ,বিবির বাজার রাজমঙ্গলপুর,অরণ্যপুর মাদক চোরাচালান প্রধান ৩০মামলার আসামী সোর্স হোসেন ওরফে ভুয়া পুলিশ হোসেন (৪০),শিবির বাজার কৃষ্ণপুর সোর্স সাজ্জাদ(৩৫) এবং গরুচোর সাজ্জাত ওরফে মাদক সম্রাট সাজ্জাত ওরফে সোর্স সাজ্জাত (৩৯),গোয়ালপট্টি টু গাংচর রোডে বাড়ী ভুয়া পুলিশ দুলাল প্রকাশ সোর্স বিল্লাল ওরফে বাদল(৪১), সোর্স জুয়েল(৪২) গংরা নিজেরাই মাদকের গডফাদার অথচ সীমান্ত পথের পুলিশ লেখা গাড়ি নিয়ে ঘুরে যানবাহন ও পথচারীদের শরীরে তল্লাশি চালানো সুবিধা মত পেলে,হাতকড়া লাগিয়ে মারধর ও চাহিদা মত টাকা আদায় করে।
ভুক্তভোগীদের সূত্র প্রকাশঃবাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে প্রথমে ছোট ভাই শাভন কে (মুন্সিবাজার রোড থেকে) ধরেগাড়ীতে তুলে হাত করা লাগিয়ে নির্মম ভাবে মেরে আধামরা করে,পরে মোবাইলে বড় ভাই করিমকে আনেন কৌশলে অতঃপর দুই ভাইয়ের চোখ,হাত,মুখ বেধে নির্জন এলাকায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়,একপর্যায়ে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার মাদক সামনে এনে ছবি তুলে!সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে রাত আড়াই টা পর্যন্ত মারধরে অর্ধমরা ২ভাই,,,বলা হলো-এক জন(যার নামে কোন মামলা নেই)তাকে চালান দিবে,আরেক ভাই কে ক্রসফায়ার দিবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত!?
প্রথম বলা হল ৩লাখ লাগবে দুই ভাই কে ছেড়ে দিবে,পরে আরও ৬লাখ লাগবে,,,
এরমধ্যেই আটককৃত দের পকেটের সব টাকা এমনকি বিকাশের টাকা পর্যন্ত নিয়ে নেয়।এরমধ্যেই ২সাংবাদিক জেনে গেছে তাদের মাইনাস করতে আরো এক লাখ লাগবে,আটক২ভাই জীবন বাঁচাতে ওই রাতেই পরিবারের মাধ্যমে টাকা এনে তার পর মুক্তি পায়,,,গত ২৯জানুয়ারী২০২৩ইং সন্ধ্যার পর কুমিল্লার কলমপ্রকাশ নির্যাতিত দের শরীরের আঘাতের চিহ্ন আর কষ্টের নির্মমতা যেন অভিশপ্ত ইতিহাস বলছি কুমিল্লা আদর্শ সদরের সীমান্ত রোডে ভূয়া ডিবি জুয়েলদের একরাতের ঘটনা।
কুমিল্লা”ভুয়া পুলিশ ও ভুয়া সাংবাদিক” অপরাধ সংঘটিত করে,ফলে সাধারণ মানুষ আস্থা হারান ও প্রতারিত হন।
কুমিল্লার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মান্নান(পিপিএম বার)দ্বায়িত্ব গ্ৰহণের পর থেকেই আইন শৃংখলা ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।অব্যাহত অভিযানে ইতিপূৰ্বে বিভিন্ন স্থানে কতেক ভূয়া পুলিশ ও ভুয়া সাংবাদিক চক্র গ্রেফতার করে।
সচেতন মহল মনে করেন,নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা তথা আইনের সুফল নিশ্চিত করতে প্রশাসনের অব্যাহতপ্রচেষ্টা আরও গতিশীল করতে হবে।
০৯ফেব্রুয়ারী২০২৩ইং প্রকাশ