• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:০৯ অপরাহ্ন

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ!

ইমরান হাসান, ত্রিশাল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি / ৩৭০ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নির্ধারিত আসন পূর্ণ করে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হলেও কিছু শিক্ষার্থী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে চলে গেছেন। এ সংখ্যা প্রায় ২০০। এখন ২০০ আসন ফাঁকা রেখেই চলবে শিক্ষা কার্যক্রম। সম্প্রতি এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এর পর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ফাঁকা আসনে তাঁদের ভর্তি নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদের ২৩টি বিভাগে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য মোট ১ হাজার ৯০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার পর দুবার মেধাতালিকা ও কোটায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে প্রশাসন। গত ৬ ফের্রুয়ারি ভর্তির কোটা পূরণ হয়। এরপর কিছু শিক্ষার্থী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে চলে যান। যে কারণে প্রায় ২০০ আসন খালি হয়েছে।

কর্মকর্তারা আরও বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে ৭ ফের্রুয়ারি। বর্তমানে পাঠদান কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যে কারণে ফাঁকা আসনগুলোতে আর নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না।

ভর্তি–ইচ্ছুক কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আসন ফাঁকা হলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। অনেক শিক্ষার্থী এ সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগটি দেওয়া হচ্ছে না। এতে ভর্তিইচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন।

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে আসন ফাঁকা দুই শতাধিক। তবে এই ফাঁকা আসনে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করাবে না জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয়ের বক্তব্যের সাথে আমিও সহমত। কারণ ৭ ফের্রুয়ারি ক্লাস শুরুর পর প্রায় দেড় মাস চলে গিয়েছে। অনেক বিভাগ তাদের মিডটার্ম পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া সামনে আরেকটা সেশনের ভর্তির সময়ও চলে এসেছে। এমতাবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে একাডেমিক কার্যক্রম বিঘিœত হবে।’


আরো পড়ুন