• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন

প্রেমিকাকে হত্যায় প্রেমিকের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক / ১৩২ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২

খুলনার বয়রা কলেজ বাউন্ডারী রোড এলাকায় জেসমিন নাহার নামের এক তরুণীকে হত্যার দায়ে তার প্রেমিক আসাদউজ্জামান সরদার ওরফে আরিফকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের করাদন্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিল। সে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নুরুল সরদারের ছেলে।

রবিবার খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ২০১৩ সালে ২৯ নভেম্বর বিকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন জেসমিন নাহার। তিনি বয়রা সরকাারি মহিলা কলেজ বাউন্ডারী রোড এলাকার বসিন্দা রাশেদ মল্লিকের ছোট মেয়ে। দুই দিন পর ১ ডিসেম্বর সকালে বয়রা দাসপাড়া এলাকার একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে পলিথিনে মোড়ানো বস্তার মধ্যে জেসমিনের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১০ জুন আসাদউজ্জামানসহ চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির এসআই পলাশ গোলদার।

পুলিশ জানায়, হত্যাকান্ডের ছয়মাস আগে আসাদউজ্জামানের সাথে জেসমিনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০১৩ সালে ২৯ নভেম্বর বিকেলে আসাদউজ্জামানের সাথে দেখা করতে বয়রা বন বিভাগ অফিসের সামনে আসে। পরে জেসমিনকে বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় আসাদউজ্জামান। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে গ্রীলের সাথে ধাক্কা দেওয়া হয়। এ সময় চিৎকার করলে জেসমিনের মুখ চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।

এরপর বস্তা ও পলিথিন দিয়ে লাশ পেচিয়ে হাজী ফয়েজ উদ্দিন সড়কের কবরস্থানে ফেলে দেয়া হয়। মামলায় তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় অভিযুক্ত আব্দুল হালিম গাজী, শেখ ফরহাদ আহমেদ, অনুপম মহলদার ও সৈয়দ ইমাম মোসাদ্দেকীন ওরফে মোহরকে খালাশ দেয়া হয়।


আরো পড়ুন