• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন

এসব আস্ফালন আমাকে মোটেও বিচলিত করে না, সাঈদুর রহমান রিমন

সাইদুর রহমান রিমন / ৫১৭ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

কন্ঠ চেনা দুই একজন অতি নিম্নমানের দালাল শ্রেণীর অমানুষ টেলিফোনে নানা আস্ফালন আর ইনবক্সে নিজ পরিবার থেকে অর্জিত অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে কী ভয় দেখাতে চান? সাঈদুর রহমান রিমনকে? তাহলে আরো ৩৪টি বছর দেশ দুনিয়ার আবহাওয়া, আলো, বাতাসের সঙ্গে আরেকটু নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে যে…তাহলেই জানা যাবে, সাঈদুর রহমান রিমন’রা হুমকি ধমকির আওতায় বসবাস করে না। যতো দাপুটেই হোক, যতোই ক্ষমতাসীন কেউকেটা হোক-তাদের অপরাধ, অপকর্ম, লুটপাটের তথ্য উপাত্ত হাতে পেলে তা তৎক্ষনাত পাঠক সমাজকে জানিয়ে রাখতে একবিন্দু ভুল করি না। যখন দেশে জঙ্গীদের একচ্ছত্র তান্ডব চলছিল তখনও তাদের নাম ধাম পরিচয় উল্লেখ করেই লীড নিউজ করতে মুহূর্তও চিন্তা করার প্রয়োজনবোধ করিনি। বিনিময়ে ৪০ গজেরও বেশি আফগানী কাফনের কাপড় উপহার পেয়ে সযত্নে রেখে দিয়েছি। কারণ, আমি মারা গেলে এতো উন্নতমানের কাফন কেনার সাধ্য পরিবারের নাও থাকতে পারে।

বিএনপি জামায়াত জোটের আমলে যখন সরকারের এক চোখ বন্ধ রাখার সুবিধা নিয়ে দেশের সীমান্তে সীমান্তে ভিনদেশী উলফা, এনডিএফবি উগ্রপন্থীরা রীতিমত ক্যান্টনমেন্ট আদলে আস্তানা গড়ে তোলেন। তখনও দেশের অনেকে হাত গুটিয়ে থাকলেও রিমনদের কলম ঠিকই ঝলসে উঠেছে। সেখানেও কিন্তু পুরস্কার জুটেছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ আগাম এক লাখ বিশ হাজার টাকা পরিশোধ করে আমার মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেছিল। ক্ষতিপূরণের সেই টাকা তখনই মনের মাধুরী মিশিয়ে খরচ করে অপেক্ষায় থেকেছি মৃত্যুর। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা এখন অব্দি বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মন্ত্রী, এমপি, হুইপ ছাড়া বড় কোনো মাফিয়ার বিরুদ্ধে লেখালেখি করার সুযোগ হয় না বললেই চলে। তাছাড়া বয়সগত কারণে নানা আয়েশও আমাকে পেয়ে বসেছে। ফলে ঝুঁকি না নিলেও পাঠকরা আর চাপাচাপি করেন না, কিছু না লিখলেও চাকরি ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হয় না। এখন পুরনো দিনের সেই রকম সাংবাদিক ছিলাম টাইপের খান্দান বিক্রি করেই জীবন চালাচ্ছি যেন। মাঝেমধ্যে বড়জোর ছিচকে ধরনের ভূয়া, প্রতারক আর মুখোশধারী ভন্ডদের বিরুদ্ধে দুই চার লাইন লেখালেখি করে টুকটাক সামাজিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি মাত্র। তবে পাঁচ বছর আগেও কিন্তু ভূয়া টাউটদের নিয়ে সিঙ্গেল কলামে নিউজ ছাপলেই এক দেড় মাস তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকতো, আতঙ্কে ভুগতো। কিন্তু এখন তাদের সে লজ্জা কেটে গেছে, ভূয়ারাও সংঘবদ্ধ হওয়ার পথ পন্থা বেছে নিয়েছে। এখন তারা বেশ দাপুটে, তাদের হাতও নাকি অনেক লম্বা।

লম্বা হাতের ভূয়া ও অপসাংবাদিকতা যতই শক্তিশালী হোক, যতই সংঘবদ্ধ হোক তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমি এবং আমার রিপোর্টার্স টিমই যথেষ্ঠ। অসাংবাদিক চক্রের কর্তৃত্বে সরকারি অনুমোদনহীন কোনো সাংবাদিক সংগঠন দেশব্যাপী অপসাংবাদিকতার সাম্রাজ্য গড়ে তুলবে, সে সুযোগ প্রকৃত সাংবাদিকরা দিতে পারে না। আমি নিজে সংগঠনটিতে ঢুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, সেখানে পেশাদারিত্ব নেই, ভূয়া ও অপসাংবাদিকের চাষাবাদ চলে। সংগঠনটিতে ১৭ হাজার সাংবাদিক সদস্য থাকারও আজব দাবি করা হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারীই যেখানে নারীসহ নেতা কর্মি নিগ্রহের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেখানে প্রকৃত সাংবাদিকদের অবস্থান হতে পারে না। আমি মূলধারার সাংবাদিকদের বিএমএসএফ ত্যাগ করার আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে ভূয়াদের সংঘবদ্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ দেয়া হবে না।

আমি ইতিমধ্যেই এ সংগঠনের কতিপয় নেতার দাপুটে নারী কেলেঙ্কারী, ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজির যাবতীয় তথ্য উপাত্ত উদঘাটনে সক্ষম হয়েছি, এরপর থেকেই রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। মনে রাখতে হবে, অপরাধ যদি করে থাকেন কোনো সংঘবদ্ধতা আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারবে না।


আরো পড়ুন