জেরিন @ জেনিফার তালুকদার তার নিজের পরিচালিত All Essential By- Zarin নামক ফেসবুক পেইজে বিদেশী নামিদামি ব্র্যান্ডের কসমেটিক্স আইটেম বিক্রির উদ্দেশ্যে পোস্ট দিয়ে থাকেন। জেরিনের এই পোস্ট দেখে অনেকে ক্রয়ের জন্য অর্ডার দিয়ে থাকে। জেরিন তাদেরকে সময়মত মালামাল সরবরাহ না করে করোনা মহামারীর সমস্যা, কাস্টমস ট্যাক্স কার্গো নানাবিধ সমস্যা এবং বিভিন্ন অজুহাতের কথা বলে কালক্ষেপন করতে থাকে।

আফসিন একজন ভুক্তভোগী অনলাইন ব্যবসায়ী, তার নিজের ব্যবসার জন্য জেরিনের নিকট থেকে পণ্য ক্রয়ের জন্য অর্ডার দিয়েছিলেন । জেরিন আফসিনকে সত্যমিথ্যা অনেক কিছু বুঝিয়ে বিদেশী কসমেটিকস আইটেম আনার জন্য বিভিন্ন ধাপে তিন লাখ বাহাত্তর হাজার টাকা গ্রহণ করেন। আন্তরিক ব্যবহার এবং স্মার্টনেস দেখিয়ে তিনি আফসিনের মন জয় করেন, বিভিন্ন খুচরা ক্রেতার নিকট থেকে যে টাকা গ্রহণ করতেন জেরিন তা তিনি আফসিনের বিকাশ একাউন্টে আনিয়ে সহজে বিশ্বাস স্হাপন করেন। বিকাশে আসা টাকাগুলো জেরিন তার স্বামী প্রবাল তালুকদারকে আফসিনের কাছে পাঠিয়ে গ্রহণ করত এবং মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নিত। নিজেকে গোপন রেখে জেরিন কখনো লাইভে আসতো না। মালামাল না দিয়ে যখন জেরিনের বিভিন্ন অজুহাত এবং কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয় তথন আফসিন বুঝতে সক্ষম হন জেরিন তার সাথে বড ধরনের প্রতারণা করছে।

আফসিন সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিআইডি সাইবার পুলিশের অনুসন্ধানে প্রতারনার সত্যতা পায়, জানতে পারে জেরিনের অনিয়ম এবং ব্যক্তিগত বিশ্চৃঙ্খলার নানা তথ্য। আফসিনের মত অনেক ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জেরিনের অন্তত বিশ লাখ টাকা প্রতারণার তথ্য পায় সিআইডি।

জেরিনের অবস্হান শনাক্ত করে সিআইডি সাইবার পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযুক্ত জেরিন@ জেনিফার তালুকদার (২৯) এবং স্বামী- প্রবাল তালুকদার (৩৮) কে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান হাউসিং সোসাইটি থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের নিকট থেকে প্রতারণায় ব্যবহ্রত পাচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-এর ২৩(২) এবং ২৫(২) ধারা মামলায়
প্রতারক দম্পতি ঘটনাৱ সত্যতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী দিয়েছেন গতকাল।