নোয়াখালীতে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী বাহিনির ছত্রছায়ায় অপরাজনীতি সহ একরামুল করিমকে বহিষ্কারের দাবিতে কোম্পানীগঞ্জে পূনরায় হরতালের ডাক দিলেন কাদের মির্জা। তিনি এসময় ওবায়দুল কাদের কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি শাষন করতে শিখেছেন, কিন্তু আদর করতে জানেন না। আপনি রক্তচক্ষু দেখিয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে দেননি।

সোমবার (২৫জানুয়ারী) বসুরহাট পৌরসভার রুপালী চত্বরে সন্ধা ৭ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে 'রাজাকারের পরিবার' বলার প্রতিবাদে একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কারের দাবীতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে  অবস্থান ধর্মঘট ও হরতাল স্থগিত করা হয়েছিলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত অনুরোধে। কিন্তু উনাদের আশ্বস্ত অনুরোধে রয়েছে মিথ্যে শান্তনা, তাই আমরা এখন থেকে পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন আবদুল কাদের মির্জা।

এসময় তিনি প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আগামী রবিবার (৩১ জানুয়ারী) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পুরো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হরতালের ডাক দিয়েছেন বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তবে পচনশীল দ্রব্য বহনকারী গাড়ী-দোকান, হাসপাতাল, রোগী বহনকারী গাড়ি, ঔষদ দোকান, কাঁচাবাজার হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীরা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ পদ থেকে বহিষ্কারের কঠোর দাবী জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে একরামুল করিমের সকল প্রকার অপরাজনীতি সহ আমাদের সকলের প্রিয় নেতা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটুক্তির বিচার করুন, নাহয় বসুরহাট থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সময়ের ব্যবধানে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে। সময় থাকতে দাবি মেনে নেয়ার জোর দাবি জানান নেতাকর্মীরা।

এসময় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী। পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেল।উপজেলা যুব লীগের সভাপতি প্রফেসর গোলাম সরওয়ার। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দীন মুন্না প্রমূখ।