আলমগীর হোসেন, নীলফামারীঃ
নীলফামারীর ডিমলায় মনি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ভুল টেস্ট রিপোর্ট দেওয়ায় বন্যা আক্তার(২১) গৃহবধূর গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত রবিবার (২৮শে জুলাই) সন্ধ্যায় ডিমলা হাসপাতাল সংলগ্ন মনি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার ঘেরাও করেছে ভুক্তভোগিসহ এলাকাবাসী।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, নীলফামারী ডিমলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের সরর্দারহাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী বন্যা আক্তার(২১) চার মাসের অন্তসত্বা ছিলো। তার শারিরীক অসুস্থতার কারনে গত ২২শে জুলাই সোমবার দুপুরে মনি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের প্রাকটিসরত ডাক্তার শমসের আলীর কাছে চিকিৎসা নেয়ার জন্য গেলে ডাঃ শমসের আলী প্যাথলজিতে গর্ভধারন পরীক্ষাসহ কয়েকটি পরীক্ষা করার জন্য মনি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে প্রেরন করেন।
বন্যা আক্তার চার মাসের অন্তসত্বা থাকা সত্বেও প্যাথলজি পরীক্ষায় মনি ডায়াগনেষ্টি সেন্টারের প্যাথলজির ভুয়া ডাক্তার একেএম আব্দুর রাজ্জাক রাজ বন্যার গর্ভে কোন সন্তান নেই মর্মে রিপোর্ট প্রদান করেন। উক্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ডাঃ শমসের আলী ব্যথা নাশকসহ বিভিন্ন রকমের ইনজেকশন চিকিৎসা পত্রে লিখে দিলে মনি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের সত্বাধিকারী লিটন ইসলাম মানিক(৩৫) ইনজেকশন গুলো বন্যার শরীরে প্রয়োগ করিলে ২ ঘন্টা পর বন্যার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যৌনপথ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরন শুরু হলে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ডোমার উপজেলার ফ্রেন্ডস্ ক্লিনিকের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ ওবায়দা নাসরিন এর নিকট নিয়ে যাওয়া হয় । গহবধু বন্যা ফ্রেন্ডস্ ক্লিনিকে চিকিৎসারত অবস্থায় তার গর্ভপাত ঘটে। এ ঘটনায় রোববার সন্ধায় বন্যার পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসী উক্ত মনি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার ঘেরাও করলে মনি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের সত্বাধিকারী লিটন ইসলাম মানিক ও প্যাথলজির ভুয়া ডাঃ একেএম আব্দুর রাজ্জাক রাজ পালিয়ে যায়।
ডিমলা সরকারী হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা সারোয়ার আলম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই, তবে অভিযোগ পেলে ভুল রিপোর্ট প্রদানের কারনে মনি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মনি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের সত্বাধিকারী লিটন ইসলাম মানিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুল রির্পোটের কারনে বন্যার গর্ভপাতের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছে।