• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

তালতলী উপজেলায় চলছে বোরো ধান রোপণের মহা উৎসব

হাফিজুর রহমান তালতলী ( বরগুনা) প্রতিনিধি। / ২২৪ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২১

তালতলী উপজেলায় চলছে -বোরো ধান রোপণের মহা উৎসব । সকাল থেকে পড়ন্ত বিকাল পর্যন্ত কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠে মাঠে।  দেখাগেছে, তালতলীর সওদাগর পাড়া সহ  সকল এলাকায় বোরো ধান রোপণের কাজ কোমর বেঁধেই করছেন কৃষকরা। তবে, শ্রমিক সংকট না থাকায় অনেকটাই স্বস্তিতে আছেন কৃষক ও গৃহস্থরা।  উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলা ব্যাপী হাইব্রিডসহ প্রায় ,,,,, (১৫০০ হেক্টর)জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য উপজেলার চেয়ে শীত ও কুয়াশায় বীজতলার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে আশেপাশের অঞ্চলে বোরো ধানের চারা সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানাগেছে। চলতি মাসের মধ্যেই তালতলীর সকল  এলাকায় ধান রোপণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তালতলীর বড়বগী  ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া গ্রামের শাহাদাত হোসেন মাতুব্বর (৪০)  বলেন আমাদের জমি লবণাক্ত তাই আমাদের বোর ধানের প্রতি  আস্থা ছিল না কৃষি অফিসের সহায়তায় বিএডিসির সেচ প্রকল্প পেয়ে আমাদের জমিতে মিষ্টি পানি আনার ব্যবস্থা করেছে বিদায় আমাদের কোন জমি খালি পড়ে নেই এই প্রথম আমাদের এলাকায় বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে আশা করছি ভালো ফলন হব।

মালিপাড়া গ্রামের হানিফ পিয়াদা  (৫৫), পাজরাভাঙ্গা গ্রামের জাহিদ হোসেন (৪০),  সোনাকাটা ইউনিয়নের বতি পাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন (৫৫) শিকারীপাড়ার ছালেক মিয়া (৪৫)বলেন, আমাদের জমিতে আগেভাগেই আমরা -বোরো ধান রোপন করেছি। মাঠে আরো অনেকের জমিতে এখনো ধান রোপন কার্যক্রম চলছে। কোনো সমস্যা ছাড়াই এবছর বোরো আবাদ শুরু করেছি। শেষও হবে ভালোই ভালোই আশা করি।

বড়বগী ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সজীব তালুকদার   বলেন, ধানই এই অঞ্চলের প্রধান ফসল। তাই আমরা সব সময় কৃষকের পাশে থেকে কৃষকদের জমি প্রস্তুতি থেকে শুরু করে আগাম পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেসি -বোরো ধান চাষ হবে। এ ছাড়াও আমরা কৃষকদের অধিক ফলনশীল ধান চাষের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করে আসছি। তাই এবার কৃষকরা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে অধিক ফলনশীল জাতের বোরো ধান করছেন। আশা করা হচ্ছে চলতি মাসের মধ্যেই তালতলী পুরো মাঠেই ধান রোপণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।কৃষি অফিস থেকে ১ হাজার জনকে  ২কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধান ও পূর্নবাসনে ৩ শত জনকে ১কেজি করে ।তাতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ৬ শত হেক্টর জমিতে বোর চাষ হবে


আরো পড়ুন