• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন

জমি জবর দখল করেও দিনমজুরের হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক!

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষীপুর প্রতিনিধি / ২২০ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১

লক্ষ্মীপুরে জমিজমা বিষয়ক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ হোসেন নামের এক দিনমজুরকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টার নামের এক শিক্ষক। ওই শিক্ষক টুমচর আসাদ একাডেমিতে শিক্ষকতা করছেন।
পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২১ নং টুমচর ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামের মুসলিম পন্ডিত বাড়ীর মৃত মুসলিম পন্ডিতের ছেলে আতরআলী জীবদ্দশায় তার খরিদকৃত সম্পত্তি থেকে আনুমানিক ১৫ বছর পূর্বে ১৩৮১ খতিয়ানের ৬২৭২ দাগে নাল জমির পূর্ব পাশ দিয়ে মোট জমি থেকে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেন একই এলাকার টুমচর গ্রামের সালাম চোকিদার বাড়ি প্রকাশ মনির বাপের বাড়ীর মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টারের কাছে।
১৫ বছর ধরে ওই জমির পূর্ব পাশ দিয়ে ভোগ দখল করলেও আতর আলী বিগত ৫ বছর পূর্বে মারা যাওয়ার পর এক রকম হঠাৎ করেই মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টার তার দলবল নিয়ে জমির পশ্চিম পাশ দিয়ে জবর দখল করেন। এতে আতর আলীর ৯ ওয়ারিশের মধ্যে জমজ দুই ভাই মোহাম্মদ হাসান (৪৫) মোহাম্মদ হোসেন (৪৫) সহ অন্যান্য ওয়ারিশগণ বাধা দিলে পূর্ব থেকে ওঁতপেতে থাকা মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টারের পেটোয়াবাহিনী তোফায়েলের ছেলে শরীফ(২৬)ও শহীদ(২৩), মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ইউসুফ (৩৮),আব্দুর রহিমের ছেলে জসীম(৩৫) ও মহিন (৩৮) সহ আরো ৫/৭জন সঙ্গবদ্ধ হয়ে লোহার রড, দা, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টারের লোহার রডের আঘাতে মোহাম্মদ হোসেনের ডান হাতের কব্জি ভেঙে যায় ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়।
আহতদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। যার রেজিঃনং ২৪১২৭/৭২
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ শরীফ হোসেন বলেন – মারামারীর ভিতরে শোরগোল শুনে আমি এগিয়ে গেলে মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টার আমাকে হুমকি ধামকি দেয় আমি যেনো সামনের দিকে এগিয়ে না যাই। সে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মোহাম্মদ হোসেন ও হাসানদের উপর মারধোর করতে থাকে।
আহত মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী পাখি বেগম বলেন- আমার স্বামীকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয় ও মাথায় রক্তাক্ত জখম করে  মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টার ও তার পেটোয়া বাহিনী। আমি এর বিচার চাই।
মোহাম্মদ উল্লাহ মাস্টারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কয়েকদফা চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এই নিয়ে টুমচর ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকদফা সালিশ বৈঠকে বসলেও সুনির্দিষ্ট কোনো মীমাংসা না হওয়ায় ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হাসান বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
টুমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল আমিন বলেন এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা বসে সমাধানের চেষ্টা করেছি তবে সমাধান করতে পারেনি।
এদিকে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হোসেন ও হাসান তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে এ প্রতিবেদকের কাছে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেন।


আরো পড়ুন