• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৭ অপরাহ্ন

লালমনিরহাটে তিস্তার চরান্চলে সবুজের মাঝে কৃষকের স্বপ্ন

শাহাজাদা বেলাল, নিজস্ব প্রতিবেদক  / ২৫৪ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১

এক কালের খরস্রোতা তিস্তা নদীতে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কয়েকদিন আগেওনতুন ফসল বুননে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের চরাঞ্চলের চাষিরা।
নদীবেষ্টিত লালমনিরহাট জেলায় বয়ে গেছে, তিস্তা, ধরলা আর সানিয়াজান নদী জানা গেছে শীত মৌসুমে প্রায় অর্ধশত চরাঞ্চল জেগে উঠেছে।
বর্তমানে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে জেগে ওঠা এসব বালু চরে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবারের সব সদস্য একযোগে কৃষি কাজে মাঠে নেমে পড়েন। এসব চরাঞ্চলের পুরুষদের সঙ্গে পরিবারের নারী সদস্যরাও গৃহস্থলীর কাজ শেষ করে কৃষি কাজে যোগ দেন।
চরাঞ্চলের এসব  জমিতে কঠোর পরিশ্রম করে ফসল  উৎপাদনই বর্তমানে এক মাত্র আয়ের উৎস চরবাসীর। তাই ফসলের ভালো ফলন পেতে দিনভর মাঠে কঠোর পরিশ্রম করেন তারা। উল্লেখ্য গতবারের বন্যায় আমন ধানের ক্ষেত বন্যা আর ভারী বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে।
অনেক কৃষকের গোলা শূন্য হয়ে পড়েছে। খাদ্যের যোগান ও সংসারের খরচ মেটাতে বালুময় জমিতে ফসল ফলানোর সংগ্রামে নেমে পড়েছেন চরবাসী। চরাঞ্চলের এসব বালু জমিতে প্রচুর সেচ দিয়ে তামাক, আলু, ভুট্টা, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, মরিচ, রসুন ও পেঁয়াজসহ নানান জাতের সবজি চাষাবাদ করেন চরবাসী।
সেচ ব্যবস্থায় চরাঞ্চলের চাষাবাদে সব থেকে বড় সমস্যা। বালু জমি হওয়ায় সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ফসলের ক্ষেতে সেচ দিতে হয় চরাঞ্চলের চাষিদের। তার ওপর প্রত্যেক চাষির সেচ পাম্প নেই। ফলে ভাড়ায় চালিত শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি পলিথিনের বিশেষ পাইপ দিয়ে প্রতি ঘণ্টা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে ক্রয় করতে হয় তাদের। যা অনেক ব্যয় বহুল ও পরিশ্রমের। এভাবেই কঠোর শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে স্বপ্ন বুনেন চরাঞ্চলের চাষিরা। শুস্ক মৌসুমের চাষাবাদে অর্জিত আয়ে বন্যাকালীনসহ বাকী সময় চলে চরবাসীর প্রতিটি পরিবারের সংসার। গতবারের আমন ধানের ক্ষেত বন্যা আর ভারী বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে।
চাষআবাদের খরচে কৃষকের গোলা শূন্য হয়ে পড়েছে। খাদ্যের যোগান ও সংসারের খরচ মেটাতে বালুময় জমিতে ফসল ফলানোর সংগ্রামে নেমে পড়েছেন চরবাসী।
জেলার তিস্তাতীবর্তী কালীগঞ্জের চর বৈরাতী গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন এ বছর বীজ, সার, কীটনাশকসহ শ্রমিকের মূল্য  অনান্য বছরের তুলনায় বেশি দিয়ে ফসল বুনতে হয়েছে,ফসলের সঠিক দাম পাওয়া না গেলে না খেয়ে দিনকাটাতে হবে।
উল্লেখ্য  চরাঞ্চলের এসব বালু জমিতে প্রচুর সেচ দিয়ে আলু, ভুট্টা, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, তামাক, মরিচ, রসুন ও পেঁয়াজসহ নানান জাতের শাক সবজি চাষাবাদ করেন চরবাসী।
বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে মাঠে মাঠে শুধুই সবুজের সমারোহ, ফসলের ক্ষেত দেখে বোঝা যাচ্ছে কৃষকের পরিশ্রম হয়তো সার্থক হবে যদি চরাঞ্চলের কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পান।


আরো পড়ুন