• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

বায়ু দূষণ মূক্ত নির্মল বায়ুর শহর গড়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, আনোয়ার হোসেন / ৪৭৯ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০

তীব্র বায়ু দূষণের শহর হিসেবে ঢাকা মাঝে-মধ্যেই শীর্ষ অবস্থানে চলে আসছে।। বায়ুদূষণ প্রবণতায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জানমাল ধ্বংস হচ্ছে। মানুষের সুস্থ্যতা এবং বেঁচে থাকার জন্য পরিচ্ছন্ন-নির্মল বায়ু অধিক গুরুত্বপূর্ণ তাই বায়ুর গুণগতমান বজায় রাখা একান্ত জরুরি। বায়ুদূষণ বন্ধে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ ও জনসচেতনতা না বাড়ালে ভবিষ্যতে দেশের শহরগুলো ভয়াবহ বায়ুদূষণের সম্মুখীন হবে। এমতবস্থায় পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ এর উদ্যোগে আগামী আজ ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ সকাল ৯:০০ টায় কামরাঙ্গীরচরের ঝাউলাহাটী চৌরাস্তা থেকে জাতীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত বাযু দূষণ রোধ করি, নির্মল বায়ুর শহর গড়ি” ¯স্লোগানে সাইকেল র‌্যালী কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

 

সাইকেল র‌্যালীতে বক্তব্য প্রদান করেন পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ এর সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সংগঠনের সাধারন সম্পাদক জি.এম রোস্তম খান, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, মানবাধিকার কর্মী মোঃ আনোয়ার হোসেন, কামরাঙ্গীরচর সাইকেলিং ক্লাবের সমন্ময়কারী সালে আহমেদ সিফাত, মোঃ হৃদয়, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠা, ঢাকার মতো বড় শহরের চারপাশে ইটভাটা, শহরের মধ্যে নানা কল-কারখানা স্থাপন, ত্রুটিপূর্ন যানবাহন বাযু দূষণের প্রধান কারণ। সেই সঙ্গে শহরের সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্ময়হীন খোড়াখুড়ি এবং নির্মাণ কাজের প্রচুর ধুলায় বায়ু দূষণ হচ্ছে। দূষিত বায়ু মানবদেহের ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে শুরু করে স্ট্রোক, হৃদরোগ ও অ্যাজমাসহ শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ব্যাধির কারণ হতে পারে। বায়ু দূষণ নীরব ঘাতক।

 

এর ফলে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৭ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটছে। বায়ু দূষণে একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয় তেমনি আর্থিক ও পরিবেশেরও ক্ষতি হয়। সুতরাং জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অবিলম্বে বায়ু দূষণরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। বায়ু দূষণরোধে পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, ওয়াসাসহ কয়েকটি কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে শীতকালে বায়ুদূষণ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নগরের বায়ুর মান সন্তোষজনক অবস্থায় রাখা এবং পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য এবং নাগরিকের জীবন ও বিশুদ্ধ বায়ু সেবনের অধিকারের নিশ্চয়তার জন্য অতি দ্রুত নির্মল বায়ু আইন-২০১৯ প্রণয়ন করা জরুরি বলে বক্তারা মনে করেন।


আরো পড়ুন