• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন

সেবাবঞ্চিত রোগীরা ফিরে যাচ্ছে বাড়ীতে রায়পুরে কমিউনিটি ক্লিনিকে ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত ২ স্বাস্থ্যকর্মী!

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি / ২৮৫ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ২ কমিউনিটি ক্লিনিকের দুই কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকে মাসে মাসে বেতন-ভাতা গুনছেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ-ক্লিনিকগুলো খুলতে খুলতে সকাল ১০টা বাজিয়ে দেয়।আবার দুপুর ১টা না বাজতেই বন্ধের তোড়জোড় শুরু করে।সরকারি দেওয়া ঔষধ আমাদের দেওয়া হয়না।কোনো কোনো সময় ঔষধ নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় রোগীদের।

বেশীরভাগ সময়ই অনুপস্থিত থাকেন কর্মরত উত্তর চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিক সিএইচপি মো: মহসিন ও পূর্ব চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপি মো: শহীদুল ইসলাম। নিয়ম অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে দুইদিন একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, ছয়দিন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং তিন দিন একজন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী উপস্থিত থাকার কথা। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিকের রুম তালাবন্ধ পাওয়া যায়। সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখা মিলেনি সিএইচপি মো: মহসিন মিয়া ও সকালচসাড়ে ১১টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মো: শহীদুল ইসলাম ও তাদের কোনো সহকর্মীর। সরকারি ছুটি ব্যাতীত কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার কথা না থাকলেও অনুপস্থিত রয়েছেন এই দুই সিএইচপি। এবিষয়ে মহসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান,আমি রায়পুরে আছি।আমাদের এফডাব্লিউ এর শামসুন্নাহর রয়েছে, উনাকে থাকার জন্যে বলেছি ।

 

উনী কি আছি এখানে? উনার সাথে কথা বলা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন,’আমি উনাকে ফোন করতেছি।’ উনী তো এখানে নেই। কোথায় গিয়েছন? সুদুত্তরে বলেন, মাঠ পর্যায়ে হয়ত কোথাও গিয়েছে। ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, বাবুল ডাক্তারের কাছে নিয়েছি। এদিকে পূর্ব চরবংশী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপি শহীদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন বলেন, যদি কেউ কর্মক্ষত্রে অনুপস্থিত থাকেন,তাহলে সেক্ষেত্রে ছুটি নিতে হবে।জরুরী প্রয়োজনে কোথায় যেতে হলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতিকে অবহিত করতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের লোকজন ঠিক মত কাজ করছেন কিনা তা দেখার জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে।কমিটির দায়িত্বে থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। ইউপি সদস্য রুকন দেওয়ান বলেন, মোহসিন এর আগে যতবার ছুটি কাটিয়েছে তা অবগত করেছে।এই সপ্তাহে ছুটির বিষয়ে কোনো কিছু সে জানায়নি।

 

এদিকে গত ১ সপ্তাহ যাবত যে সকল স্বাস্থ্যকর্মী ছুটির জন্য আবেদন করেছে, তাদের মধ্য এই দুজনের নাম নেই। তথ্য অনুযায়ী, গ্রা‌মের মানু‌ষের জন্য প্রাথ‌মিক স্বাস্থ্য প‌রিচর্যা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, বিনামূ‌ল্যে ওষুধ, পু‌ষ্টি, গর্ভবতী, প্রসূ‌তি ও নবজাত‌কের সেবার ব্যবস্থার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি সাবেক ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করার লক্ষ্যে মাঠে নামে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০১ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক চালু করে সে সময় সরকার। তবে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আবার চালু করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সর্বস্তরের মানুষ ক্লিনিক থেকে সেবা নেয়।

 

তবে সেবা গ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশ দরিদ্র বা অতিদরিদ্র।সেবাগ্রহীতাদের ৭৭ শতাংশই নারী।প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে দুই মাস অন্তর সরকারিভাবে ২৭ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হয় প্রতিটি ক্লিনিকে। আর একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মূল বেতন ১০ হাজার ২০০ টাকা। সর্বসাকুল্যে পান ১৬ হাজার ৭০০ টাকা। যা প্রতিমাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমে চলে যায় চাকুুুরীজীবির একাউন্টে। সবকিছুু ঠিকমতো পেলেও নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আশফাকুর রহমান মামুন বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।

 

স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নৌ প্রতিমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের নদী খনন কাজ! অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উদ্বোধন করলেন ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের নদী খনন কাজ। লক্ষীপুরের মজুচৌধুরীরহাটে শনিবার দুপুরে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল এবং ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরিসহ নৌযোগাযোগ দ্রুত ও নিরাপদ করতে মেঘনা নদীর লোয়ার অংশে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর দক্ষিণ দিকের চ্যানেলের ২৫ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে। খনন কাজটি সম্পন্ন হলে ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং ঢাকা-লক্ষ্মীপুর উভয় নৌপথের দুরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার কমবে। ঢাকা হতে লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ ৬ ঘন্টায় যেতে পারবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি শনিবার লক্ষ্মীপুরে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের উল্লেখিত ২৫ কিলোমিটারের খনন কাজের উদ্বোধন করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আলোকবর্তিকা। তাঁর আলোয় আলোকিত হচ্ছে দেশ। তিনি পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, চার লেন- ছয় লেনের মহাসড়ক, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছেন।প্রতিমন্ত্রী আজ লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট বাস টার্মিনালে ঢাকা-লক্ষীপুর নৌপথের ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃকায় এসব কথা বলেন। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র


আরো পড়ুন