• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সন্তান প্রসব, বাবা শনাক্ত হলেন যুবক !

অনলাইন ডেস্ক / ২৭৮ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০

বগুড়ার ধুনটে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী জন্ম দেওয়া সন্তানের পিতৃপরিচয় তৃতীয় দফায় ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে। বাবার নাম রাকিব হোসেন (২৮)। তিনি পরিবহন শ্রমিক। রাকিব হোসেন উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুলছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলাটি প্রায় দুই বছর ধরে তদন্ত শেষে বগুড়া আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে। মামলায় রাকিব হোসেন ও একই এলাকার অফফের আলীর ছেলে বকুল হোসেনেকে (২৩) অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রী কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতো। পার্শ্ববর্তী রঘুনাথপুর গ্রামের বকুল হোসেনের (২৩) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে বকুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষণের সময় ধরে ফেলে নানা। ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠে। ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে তার বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও তার নাতি বকুল হোসেনকে আসামি করা হয়। স্কুলছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়।

 

এদিকে আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ সন্তানসহ স্কুলছাত্রীকে রাজশাহী শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে (সেফহোম) রাখেন। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি রশিদ মন্ডল ও বকুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় সনাক্ত করতে রশিদ ও বকুলের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। কিন্ত তাদের ডিএনএ পরীক্ষায় সন্তানের জন্মদাতার পরিচয় মেলেনি।

পরে আদালতে হাজির করা হলে স্কুলছাত্রী পুনরায় রাকিব হোসেনের নাম প্রকাশ করেন। গত ৭ আগস্ট নওগাঁ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের আদেশে ৩ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রী ও তার পুত্রসন্তান এবং রাকিবকে ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তরে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় রাকিবের ডিএনএ মিলেছে। মামলায় অভিযুক্ত আসামি রাকিব ও বকুল বগুড়া কারাগারে আটক রয়েছে।ডিএনএন টেস্ট ও তদন্তে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় এ মামলা থেকে স্কুলছাত্রীর নানা রশিদ মন্ডলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরো পড়ুন