• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন

কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা মুক্ত দিবস পালন

আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া-স্টাফ রিপোর্টার / ৪৮৭ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে কুমিল্লা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।মঙ্গলবার(৮ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার,সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা,জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর,পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম বার পিপিএম,জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন,জেলা পুলিশ,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল,মহানগর আওয়ামীলীগ,বিভিন্ন সরকারী দপ্তর,বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নগরীর পৌর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় কুমিল্লা।এদিন বিকেল ৪টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে তৎকালীন পূর্বাঞ্চলের প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরী দলীয় পতাকা ও কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক অ্যাডভোকেট আহমদ আলী স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
  ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী কুমিল্লা বিমানবন্দরে পাক বাহিনীর ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের প্রধান ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করে।মিত্রবাহিনীর ১১ নম্বর রেজিমেন্টের আর.কে মজুমদারের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিমান বন্দরের তিনদিক থেকে আক্রমণ চালানো হয়।সীমান্তবর্তী বিবির বাজার দিয়ে লেফটেন্যান্ট দিদারুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল এবং অপর দুটি দল গোমতী নদী অতিক্রম করে কুমিল্লা শহরের ভাটপাড়া দিয়ে এবং চৌদ্দগ্রামের বাঘেরচর দিয়ে এসে বিমান বন্দরের পাকসেনাদের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে।
রাতভর পাকবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।কিছু পাকিস্তানি সেনা বিমান বন্দরের ঘাঁটি ত্যাগ করে শেষ রাতে কুমিল্লার বরুড়ার দিকে ও ময়নামতি সেনা ছাউনিতে ফিরে যায়।কয়েকজন আত্মসমর্পণ করে।এক পর্যায়ে পাকসেনাদের বিমানবন্দরের প্রধান ঘাঁটি দখলে নেয় মুক্তিসেনারা।আর এভাবেই একাত্তরের ৮ ডিসেম্বর ভোরে কুমিল্লা হানাদার মুক্ত হয়।এদিন ভোর থেকে মুক্তিসেনারা শহরের চকবাজার,রাজগঞ্জ,টমছমব্রিজ ও গোমতী পাড়ের ভাটপাড়া দিয়ে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে শহরে প্রবেশ করে।তখন সড়কে নেমে আসে আনন্দে উদ্বেলিত জনতা।
কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল জানান,কুমিল্লা টাউন হল মাঠে তৎকালীন পূর্বাঞ্চলের প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী দলীয় পতাকা ও কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক অ্যাডভোকেট আহমদ আলী স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় কুমিল্লার আপামর জনগণ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে মুক্তির উল্লাসে আমাদেরকে বরণ করে নেন।


আরো পড়ুন