• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

একজন মানবাধিকার কর্মীর কথা।

মোঃ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী / ৪০১ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস।
সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও পালিত হবে মানবাধিকার দিবস। আমরা মানবাধিকার কর্মীরা ধর্ষন,বাল্যবিয়ে,শিশুশ্রম, নারী নির্যাতন,বিচার বহির্ভূত হত্যা,এবং অপরাধের কঠিন দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম বা মানববন্ধন সহ দলমত নির্বিশেষ একজন দক্ষ এডভোকেট এর মাধ্যমে নির্যাতিত নিপিড়ীত দের অধিকার রক্ষায় অনেক আইনি সহায়তা করে থাকি।

দ্বীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানবতার কল্যানে নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সকল অন্যায়, অপরাধ,ঘুষ,দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে সততার সঙ্গে একজন দক্ষ মানবাধিকার কর্মী হিসেবে প্রস্তুত করেছি। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কর্মীদেরকে দেখা যায় তারা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভিন্ন কলকারখানা থেকে চাঁদাবাজি, চিটারি,বাটপারি করে কার্ড বানিজ্য করে, একজন মানবাধিকার কর্মীর পক্ষে এটা মোটেই উচিৎ নয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পরলে মন কেঁপে উঠে সেদিন মানবাধিকার লংঘন চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙ্গালী ঝাপিয়ে পড়ে।

আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।

দ্বীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভব হানি হয়েছে। যিনি এত সুন্দর একটা দেশ আমাদেরকে উপহার দিয়ে গেছেন তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
কিন্তু আজও আমার সোনার বাংলায় সুদ,ঘুষ,দুর্নীতি,ধর্ষন,নির্যাতন সহ নানান অপরাধের কথা প্রতিনিয়ত শুনি।তখন মনে হয় সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসররা আমাদের কে এখনও তারাচ্ছে।

১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস

সেই ভয়াবহ বিভীষিকাময় সময় আর কোনদিন দেখতে চাই না। মানবাধিকার রক্ষায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভুমিকা ছিল অপরিসীম। আজ সেই মানবাধিকার আমরা ভুলে যাচ্ছি। অসততা, মিথ্যা, ভেজাল, অন্যায়, অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব থেকে সাধারণ মানুষ প্রতিকার চায়।


আরো পড়ুন