• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আবারো মাঠে সক্রিয় !

মোঃ শামীম হাওলাদার, গলাচিপা পটুয়াখালী প্রতিনিধি  / ৩৪৪ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০

আগামী মার্চ এপ্রিল মাসে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মেয়াদ উওীর্ন হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ায়ে চলছে নির্বাচনের গরম আবহাওয়া ! এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিএনপির ও জামায়াতের কোন প্রার্থীকে বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে এখন পযর্ন্ত মাঠে দেখা যায়নি ! তবে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী দেখা যায় ! এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক আট. দশ জন করে প্রার্থী দেখা যায় !
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার যখন ক্ষমতায় বলে কথা তাই এক এক প্রার্থী এক এক নেতাদের ম্যানেজ করে প্রার্থী ঘোষণা দেন ও বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সহ সাধারণ জনগণের সাথে কুশল বিনিময়ে করে ! আওয়ামীলীগ দলীয় একাধিক প্রার্থীদের মধ্যেই রয়েছে অনেক নব্য আওয়ামীলীগ তারা ইতি মধ্যেই চেয়ারম্যান প্রার্থী বলে ঘোষণা দেন ! যাদের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে রাজনীতি করার বয়স দুই বছর. পাচ বছর. আট বছর.দশ বছর রয়েছে !
এবং অনেক ইউনিয়নে জম্মথেকে বংশগত বাপ দাদা সহ আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে জরিত রয়েছেন ! তাদের মধ্যেই অনেকেই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ঘোষনা দিয়েছেন ! এভাবেই অনেক ইউনিয়নে তথ্য নিয়ে যানা যায় নির্বাচন আবহাওয়া এরই মধ্যে গলাচিপা উপজেলার অন্যতম এক নং আমখোলা ইউনিয়ন কিন্তুু এই ইউনিয়নটি একটু ব্যাতিক্রম ইউনিয়ন !
এই ইউনিয়নটি গলাচিপা উপজেলার মধ্যে আওয়ামীলীগ ঘাটী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে এবং যেকোনো নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বেশি ভোট পাওয়া যায় !
এই ইউনিয়নে স্বাধীনতার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিবার আওয়ামীলীগে বেশি ভোট পেয়েও বিভিন্ন কৌশালে বিএনপির কাছে হেরে যেত ! তেমনিই সাবেক বিএনপির চেয়ারম্যান আ: ছওার হাওলাদার সাহেব একাধিক সতোরো বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ! এরই ধারাবাহিকতা সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতাকে ভুল বুঝিয়ে সুকৌশলে সাবেক জাতীয় পার্টীর কর্মী. ও সাবেক বিএনপির আমখোলা ইউনিয়নের নেতাকে দল প্লার্টী করে আওয়ামীলীগ দলে যোগদান করেন ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হন এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সকল দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে পেয়ে যান !
এভাবেই পাচ বছর দায়িত্ব পালন করার পর এক সময় জাতীয় নির্বাচন এসে পরে তখনই ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশ সমোলোচিত ব্যক্তি অরাজনৈতিক  (গোলাম মাওলা রনি ) আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পায় ! এবং দলের মনোনয়ন পাওয়ায় সেই এমপি নির্বাচিত হন সেই থেকে সমালোচনা ব্যক্তি গোলাম মাওলা রনির প্রিয় আস্তাভাজন আমখোলা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার মৃধা তার ভক্ত হয়েযান এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান হয়ে যান এবং ঐ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অনেক বড় আশা করে কঠিন পরিশ্রমের মধ্যেই তাকে নির্বাচিত করে !
কিন্তুু যখন আনোয়ার হোসেন মৃধা সাহেব অন্য দলে ছিলেন তখন তাকে এই মূলয়ন কখনও করেনি এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে এসে যে সম্মান তিনি পেয়েছেন তার জীবনে এই সম্মান কোথায় তিনি পাননি ! কিন্তুু কি বলব ভাগ্যের পরিহাস.চেয়ারম্যানের চেয়ার পেয়ে সকল আওয়ামীলীগ সংগঠন কে চোখের ইশারায় পল্টি দিয়ে পাচ বছরে হাতিয়ে নিয়েছে তার ভবিষ্যতের চলার জন্য গুছিয়ে নিয়েছে সব ! এরপর তার চলাফেরা ভাল লাগা ঐ পিছনে ফেলে আসা বিএনপি জামায়াত ও গনজাগরনের মঞ্চ ভাঙচুর করার সন্ত্রাসীদের সাথে সেই বন্ধু সহপাঠীদের নিয়ে ! ঐ সকল বন্ধুদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা সহ নানান উপকার করেন ! এবং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী কে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন !
এভাবেই কেটে গেল চেয়ারম্যান পদে থাকা পাচটি বছর ! আবার আসল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তখনই ভাগ্যক্রেমে সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামীলীগ দলীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলে যোগদান না করে হয়ে যান আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকা প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস মার্কার সতন্ত্র প্রার্থী ! এবং মাঠে নির্বাচন করেন এক পর্যায়ে নির্বাচনের চার পাচদিন আগে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ তখনকার এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনেক অনুরোধ করে বুজিয়ে তাকে থামিয়ে দেয়া হয় ! কিন্তুু বতর্মান একটা প্রোশ্ন থেকে যায় তিনি বতর্মানে নব্য আওয়ামীলীগ সহ বিএনপি জামায়াতের নেতাদের নিয়ে আবারো মাঠে নেমেছেন দলীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নৌকা মার্কার প্রতিক পাওয়ার জন্য  এবং এরই সাথে সাথে তিনি মাঠে ঘোষণা দেন নৌকা পেলেও না পেলেও নির্বাচন করবেন তাহলে একটি প্রশ্ন থেকে যায় তিনি কি দলের কমেন্ড মানে না !
যেখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেএী জয়তু শেখ হাসিনা একাধিক বার বলেছেন আমার দলের নৌকা প্রতিকের কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে কখনো কোনদিন মনোনয়ন দিব না ! তাহলে এই আনোয়ার হোসেন মৃধা কিভাবে কার জোরে লাফালাফি করতেছেন কোথায় তার খুটির জোর  ! তাহলেকি বিএনপি জামায়াত নিয়ে নির্বাচন করবেন ! এই তথ্য গুলো আমখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা কর্মীদের কাছে ঘুরে যানা যায়  !


আরো পড়ুন