• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন

মোঃ আ:মান্নান থেকে অধ্যাপক ডা: এম এ মান্নান স্যারের এক জীবন সংগ্রামের কাহিনী

মোঃ শামীম হাওলাদার, গলাচিপা ( পটুয়াখালী ) প্রতিনিধি  / ৪৪১ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার.উপকূলবর্তী এলাকা উপজেলা গলাচিপার.আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের.আহেদ আলী হাওলাদার বাড়ির.মোঃ আ: হাই হাওলাদারের ঘরে জম্ম নেয়ার তৃতীয় সন্তান. মোঃ আ: মান্নান ! আট ভাই বোনের তৃতীয় নং আ: মান্নান ! সবার আদরের সবার ভরসাস্থল মান্নান স্যার যিনি শিশু জীবন কাটিয়েছেন নিজস্ব জম্মস্হান বাবা মা ও দাদীর কাছে. তিনি তার প্রথম ঙ্কুল জীবন শুরু করেন ! ছৈলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় !
তার পরে ঐ ঙ্কুল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশ করেন ! এর পর পটুয়াখালী জেলার সব চেয়ে ভাল ঙ্কুল পটুয়াখালী জুবলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছষ্ঠ শ্রেণী থেকে সব সময় ভাল রেজাল্ট করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সুনামের সহিত খুব সুন্দর রেজাল্ট তৈরী করে মা বাবা মুখের হাসি দেখতে পেয়ে অনেক অনেক খুশি তিনি !
তারপর পরিবারের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিল ! একাদশ শ্রেনীতে ভর্তী হওয়ার জন্য ঢাকায় চলে গেলেন ! এবং ঢাকায় একটি নামকরণ কলেজে ভর্তী হলেন এবং একাদশ শ্রেণী কাটিয়ে পরিক্ষা দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেজাল্ট তৈরী করেন এবং জীবন পাল্টানো এক চাকাঘোরার সৃষ্টি হল !
তারপর রেজাল্ট ভাল হওয়ায়.মেডিকেল ভর্তী পরিক্ষায় অংশগ্রহন করলেন এবং সেখানেও তিনি লক্ষাধিক ছাএ ছাএীর ভিতরে ভাগ্যক্রমে অনেক ভাল ফল তৈরী করেন এবং মেডিকেল লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি  হল !
তিনি লেখাপড়ার ফাকে ফাকে বন্ধুদের নিয়ে ছাএ রাজনীতিতে জরিয়ে পরেন !
এভাবেই চলতে থাকে মেডিকেল কলেজে তার লেখাপড়া ও পাশাপাশি রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর আদার্শ বুকে ধারন করে পথ চলতে থাকেন আ:মান্নান তারপর এক সময় ছাএলীগ সম্মেলন আসে আর সেই মেডিকেল কলেজের ছাএলীগের সম্মেলনে সবার সিদ্ধান্তে হয়ে যান দক্ষিণ অঞ্চলের বৃহত্তম বরিশাল মেডিকেল কলেজের ছাএলীগ সাধারণ সম্পাদক হন ও তৎকালীন বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের প্রেসিডেন্ট আ: রহমান সাহেবের ছেলের সঙ্গে লড়াই করে ভিপি নির্বাচিত হন !
তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন চতুর চৌকাস ও বুদ্ধিমত্তা বুদ্ধিমান, তিনি সব সময় রাজনীতিতে বিরোধী দলকে কৌশল অবলম্বন করে ঘায়েল করতেন ! তারপর এভাবেই চলতে থাকলো মেডিকেল ছাএ রাজনীতি এক সময় মেডিকেলে লেখাপড়ায় পাশ করে হলেন ডাক্তার আ: মুহাম্মদ মান্নান ! এম বি এস পাশ করে তার এক বড় ভাই অধ্যাপক ডাক্তার এম এ গনি মোল্লা স্যারের সহযোগিতায় ঢাকায় চলে গিয়ে সেটেল হলেন ডাক্তার আ: মুহাম্মদ মান্নান স্যার !
ভাগ্যক্রমে এক বড় স্যারের সহযোগিতায় নিয়োগ পেলেন ঢাকা মা ও শিশু ইউনিষ্টুডিট হাসপাতাল মাতুয়াইল ঢাকা ! তিনি শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়েছেন ! শুরু হয়েগেল কর্মজীবন এক সময় দায়িত্ব পালন করেন ! আদর্শ সৎ নিষ্ঠাবান হিসাবে পরিচিতি পেলেন  ডাক্তার মান্নান স্যার,পেশাজীবি রাজনীতি শুরু করলেন হয়ে উঠলেন ঐ হাসপাতালের সকল ডাক্তার কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দের প্রিয় স্যার মান্নান স্যার এভাবেই চলার কিছুদিন পর স্বাচিপের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বাচিপের একজন প্রিয় নেতা !
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হল না ডাক্তার মান্নান স্যারের ! সবার প্রিয় সবার পছন্দের স্যার. আস্তে আস্তে কেন্দ্রীয় স্বাচিপেও যায়গা করে নিলেন সদস্যের পথ তারপর থেকে বিভিন্ন পদে কেন্দ্রীয় স্বাচিপের নেতা হলেন ! তারপর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়ানের সদস্য হলেন এভাবেই পথ চলতে চলতে এক সময় বিভিন্ন সময়  বিভিন্ন পদে থাকেন ডাক্তার মান্নান স্যার !
এবং কর্মজীবনে প্রতিটি ধাপে ধাপে প্রমশন হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকেন ! এক সময় চিনতে চিনতে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের পদে থাকা বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় পরিচিতি হলেন ! বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ভাবে পরিচিতি হল ! তার পর একদিন হঠাৎ করে তার মেডিকেল ছাত্র জীবনের ছোট ভাই পটুয়াখালীর পৌরসভার মেয়র ডাক্তার সফিকুল ইসলাম সফিক স্যারের এবং সরকারের উপরস্ত কিছু কর্মকর্তার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ও প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দিলেন !
তারপর তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব সহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালকের  দায়িত্ব নিলেন ! এবং অনেক অনেক সুন্দর সৎ.নিষ্ঠার সহিত অনেক দুংখ কষ্ট ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে তিনটি বছর অতিবাহিত করলেন ! এবং প্রমোশন পেয়ে সেই পুরাতন মা ও শিশু হাসপাতাল মাতুয়াইলে চলে গেলেন !
এবং তিনি পটুয়াখালী থেকে কর্ম খাতিলে বদলি হওয়ায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ সহ প্রশাসনিক সকল কর্মকর্তারা সহ কর্মচারিবৃন্দ এক অজরো নিরব কান্নার সৃষ্টি হয় এবং সকল কর্মকর্তারা কর্মচারিবৃন্দ তার জন্য সব সময় দোয়া করেন ! তিনি যেন যেখানেই কর্মজীবনে থাকেন সেখানেই যেন সব সময়  ভাল থাকেন ! পটুয়াখালী থেকে চলে গিয়ে আল্লাহর রহমাতে কয়েকটি প্রমশন ধাপ এগিয়ে গেল !এবং মা ও শিশু ইউনিষ্টুডের নিবার্হী পরিচালেকের দায়িত্ব পালন করার দায়িত্ব পেলেন !
এবং সব সময় সৎ সাহস দিয়ে পথ চলতেন এবং বর্তমান সরকারের একজন আস্হাভাজন কর্মকর্তা হলেন ! এবং বি এম ডি সির সদস্য নির্বাচিত হলেন ! আমাদের গলাচিপা উপজেলার গর্ব.আমাদের পটুয়াখালী জেলার অহংকার ! ভবিষ্যতে আল্লাহ যেন আমাদের পটুয়াখালী বাসীর সেবা করতে এই ন্যায়নিষ্ঠ.সৎ. বান্দাকে পাঠিয়ে দেন ! এই দোয়াই রইল এই পটুয়াখালী বাসীর জনপথে ! তিনি আজ হয়ে উঠলেন অধ্যাপক ডাক্তার এম এ মান্নান স্যার ! আল্লাহ হাফেজ তার জন্য সকল সময় পটুয়াখালী বাসীর দোয়া রইল !


আরো পড়ুন