• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

ভারতীয় পাউডার জাতীয় পণ্য মিথ্যা ঘোষণায় আনার কারণে আমদানিকারক লাল্টুর পণ্য আটক!

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি / ৩০১ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারত থেকে ব্লিচিং পাউটার ঘোষণায় আমদানিকৃত পণ্যের সাথে কফি,পল্টিফিডের ওষুধ ও পাউডার জাতীয় পণ্য মিথ্যা ঘোষণায় আনার অভিযোগে ভারতীয় একটি ছয় চাকার ট্রাক আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তারা।

রবিবার বিকালে বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩২ নং শেডের সামনে থেকে ভারতীয় ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।আটককৃত পণ্যের আমদানিকারক এমএস রিড এন্টার প্রাইজ এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট রিয়াংঙ্কা ইন্টারন্যাশনাল।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার কল্যাণ মিত্র চাকমা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩২ নং শেডের সামনে থেকে ডই ২৫ই৭১৩৩ নম্বরের একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করা হয়। আটককৃত ট্রাকটি বেনাপোল কাস্টমস হাউজে আনা হয়েছে। পরে কাস্টমস হাউজের মধ্যে ট্রাকটি তল্লাশি করে ভারত থেকে আমদানিকৃত ব্লিচিং পাউডারের সাথে মিথ্যা ঘোষণার কফি, পল্টিফিডের ওষুধ,ওমিপ্রজাল জাতীয় দানাদার ওষুধ ও পাউডার জাতীয় পণ্য পাওয়া যায়। আটক ট্রাকটির মধ্যে থেকে যে পণ্য পাওয়া গেছে তা পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব না বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে আমদানিকারক এমএস রিড এন্টার প্রাইজ এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট রিয়াংঙ্কা ইন্টারন্যাশনাল এর নামে কতটি পণ্যের চালান আমদানি করেছেন তা আমরা এখন বলতে পারবো না। তবে ধারনা করা যাচ্ছে এর আগেও একই নামে একাধীক পণ্য আমদানি করেছে। যেহেতু ব্লিচিং পাউডার বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য সেই মোতাবেক কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে শেডের ভিতরে আনলোড না করে শেডের বাইরে গাড়ি টু গাড়ি পরীক্ষন ও ডেলিভারী দেওয়া হয়। বিশেষ করে ব্লিচিং পাউডার টিনের ড্রামে আমদানি করা হয়। মিথ্যা ঘোষণা পণ্য চালান থেকে সরকার কত টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে তা এই মুহুত্বে বলতে পারবো না।তিনি আরো বলেন, বি/ই নং সি ৫৪৫২৫,তাং ১৪/১১/২০২০ইং আমার দায়িত্বরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গাড়ি টু গাড়ি পরীক্ষন করতে ভারতীয় ট্রাকে উঠে পণ্যের ব্যাগের গায়ে বিভিন্ন রকম সংকেতিক চিহ্ন দেখে সন্ধেহ হলে ব্যাগ খুলে কফিসহ বিভিন্ন ওষুধ ও ভিটামিন জাতীয় পণ্য দেখতে পান।তখন আমরা ভারতীয় ট্রাকটি আটক করি।আটক কৃত ট্রাকের মধ্যে ব্লিচিং পাউডার ৪৬৭৫ কেজি, কফি ৩৬০ কেজি, ওষুধ ১৯২৭ কেজি।

কাস্টমস হাউজে ট্রাকটি তল্লাশির পর গাড়ির ভিতর থেকে ৫০ কেজি ওজনের প্রতিটা ব্যাগের উপরে রুপা,আর,জেএস,এসজে এই সংকেত গুলা লেখা আছে।এই পণ্য চালানটি কেয়ারিং এর দায়িত্ব নিয়েছেন পলক পারভেজ লাল্টু।তবে পণ্য চালানটি একাধীক ব্যক্তির যা সংকেত চিহৃ দেখে বোঝা যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আমদানিকারক এমএস রিড এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী পলক পারভেজ লাল্টু এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট রিয়াংঙ্কা ইন্টারন্যাশনাল বি/ই ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ধরণের পণ্য মিথ্যা ঘোষণায় কাস্টমস ছাড় করে যাচ্ছে। এদিকে রিড এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী পলক পারভেজ লাল্টু সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে।

সিএন্ডএফ কর্মচারী মনিরুজ্জান বলেন, এই প্রথম এমএস রিড এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী পলক পারভেজ লাল্টু আমাকে দিয়ে এই পণ্যের সকল কাস্টমস কার্যক্রমের দায়িত্ব দেন। আমি জানতাম না যে এই ট্রাকে ব্লিচিং পাউডারের সাথে ঘোষণা বহিরভুত পণ্য আছে। আমার সিএন্ডএফ এজেন্টে কাজ না থাকায় আমি টাকার বিনিময়ে এমএস রিড এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী পলক পারভেজ লাল্টু’র কাজ করে দিয়েছি। কিন্তু আমার অজান্তে এই পণ্যের মধ্য মিথ্যা ঘোষণা পণ্য নিয়ে এসেছে পলক পারভেজ লাল্টু। আমি ট্রাকের পণ্য পরীক্ষা করানোর জন্য কাস্টমস কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে গিয়েছি। যারা নিরাহ সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের দিয়ে অসৎ কাজ করায় তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি হোক এই দাবী আমি করছি।


আরো পড়ুন